চট্টগ্রামের বাঁশখালী সড়কটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঁশখালীর একমাত্র সড়কটি একদিকে আঁকা বাঁকা অপরদিকে এ সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনা যেন নিত্য সঙ্গী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অদক্ষ চালকের কারণে বাঁশখালী রুটে প্রতিদিন দুঘর্টনা লেগেই আছে। গত বছর সংঘটিত শতাধিক দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু ও সমপরিমাণ লোক পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। টানেল চালুর পর থেকে বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সরু সড়কটি দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী গাড়ির চাপ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ টানেল চালুর পর আনোয়ারা, বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়কটি চারলেন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটিতে এখন বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ও দুপাশে ভেঙ্গে পড়ছে।
ত্বরিত সংস্কার না করলে সড়কের অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বাঁশখালীর কালীপুরের গুনাগুরীতে প্রতিদিনের যানজটে যাত্রীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে দুপাশ ভেঙ্গে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে তোলার কারণে সড়কটি একদিকে যেমন সরু হয়ে পড়েছে অন্যদিকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজটও বেড়েছে। বাঁশখালীর পুকুরিয়া থেকে প্রেমবাজার পর্যন্ত সড়ক সমপ্রসারণ না করায় দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে তেমনি যানজটের কবলে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা।
বাঁশখালীর একমাত্র সরু সড়কটি দিয়ে চকরিয়া মহেষখালী কুতুবদিয়া ও কক্সবাজারগামী গাড়িগুলোর অতিরিক্ত চাপের ফলে বাঁশখালীর পুকুরিয়া চৌমুহনী, কালীপুর গুনাগরী খাসমহল, মিয়ারবাজার, চাম্বল বাজার, টাইমবাজার থেকে করে বেশ কয়েকটি স্থান যেন ‘ভোগান্তির স্পট’ হিসেবে আখ্যা পেয়েছে। বাঁশখালীতে সুনির্দিষ্ট কোনো বাস টার্মিলাল না থাকায় সড়কের উপর গাড়িগুলো পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। এটিও যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ।
চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজারগামী যাত্রী কাইয়ুম সিকদার বলেন, সড়ক সরু ও যানজটের ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কোথাও যাওয়া সম্ভব হয় না। বাঁশখালীর কালীপুরের গুনাগরীর যানজট সবচেয়ে তীব্র। অথচ এ সড়ক ধরে কক্সবাজার যেতে সময় একেবারে কম লাগে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।