বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের দক্ষিণ চাম্বল সোনারখিল এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, পুঁইছড়ি ইউনিয়নের জঙ্গল পুঁইছড়ি এলাকায় ইজারা বহির্ভূত ছড়া থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে দু’টি ট্রাক বালুসহ জব্দ করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের দক্ষিণ চাম্বল সোনারখিল এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগের প্রেক্ষিত আজ বুধবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি উঁচু টিলাকে নিজেদের জায়গা বলে চাম্বলের দক্ষিণ চাম্বল সোনার খিল কালাম, পারভেজ, ট্রাক ডাইভার মানিক, আবুল বশরসহ বেশ কয়েকজন ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে তা চাম্বলের চেয়ারম্যান ঘাটা নামক স্থানে এনে জমায়েত করে। পরে সেখান থেকে প্রতি ট্রাক ১০০০/১৫০০টাকা হিসাবে বিক্রি করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু এলাকার মাটি কেটে সমান করা হয়েছে। সেই ব্যাপারে আশেপাশের কেউ যাতে মুখ না খোলে সেজন্য শাসিয়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চায় না।
এর আগেও চাম্বল এলাকায় পাহাড় কাটা নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করে।
এদিকে, বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের জঙ্গল পুঁইছড়ি এলাকায় ইজারা বহির্ভূত ছড়া থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে দু’টি ট্রাক বালুসহ আটক করা হয়।
পরে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ১৫(১) ধারা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওমর ফারুক। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
মাটি বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, “আমি বর্তমানে শহরে রয়েছি এবং দক্ষিণ চাম্বল সোনারখিল এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি কাটার ব্যাপারে আমি অবগত নই।”
বনবিভাগের জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। কারো ব্যক্তিগত জায়গা হলেও এভাবে কাটতে পারবে না। আমি খবর নিয়ে বিস্তারিত অবগত হচ্ছি।”
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। খবর নিয়ে প্রয়্জেনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”
উল্লেখ্য, বাঁশখালীর নাপোড়ায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইজারা প্রদত্ত একটি মাত্র বালুমহল থাকলেও বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানে ১৫/২০টি স্পর্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন অভিযান ও জরিমানা আদায় করলে কিছুদিন থেমে থাকে, পরে আবারও মাটি কাটা শুরু হয়।
অধিকাংশ সময় প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে এসব কাজ করা হয় বলে অভিযোগে প্রকাশ।