বাঁশখালী পৌরসদর জলদীতে ব্যাংকে টাকা তুলতে এসে মো. আবদুল্লাহ (২৪) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী দুর্বৃত্তদের কবলে পড়লেও পুলিশী তৎপরতায় ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছেন।
পৌরসভার দক্ষিণ জলদী ৭নং ওয়ার্ডের বিধান দাশের পরিত্যক্ত দোকান থেকে আজ রবিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬.৫০টায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুর্বৃত্তদের ২ জনকে আটক করে পুলিশ।
তবে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ও অপহৃতকে বিভিন্ন ঝোপঝাঁড়ে খুঁজতে গিয়ে পুলিশসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল ডেপুটিঘোনা এলাকার মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র মাছ ব্যবসায়ী মো. আবদুল্লাহ উপজেলা সদরে একটি বেসরকারি ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য দারোগা বাজার এলে সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১১টার সময় তাকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে পরিবারের লোকজনের কাছে মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করলে বিকাশে ১৫ হাজার টাকা প্রেরণের পর তাকে ছেড়ে না দিলে পরিবারের লোকজন ১২টার দিকে বাঁশখালী থানায় এসে বিষয়টি জানায়।
এসআই দীপক কুমার সিংহ সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স মোবাইল ফোন ট্রেক করে এবং পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে খুঁজে রবিবার সন্ধ্যা ৬.৫০টায় পৌরসভার দক্ষিণ জলদীর ৭নং ওয়ার্ডের বিধান দাশের পরিত্যক্ত দোকান থেকে আবদুল্লাহকে উদ্ধার করে।
এ সময় দুর্বৃত্ত চক্রের সদস্য দুলাল দাশের পুত্র পলাশ দাশ (২৫) ও সুকুমার দাশের পুত্র শিমুল দাশ(২৪)কে আটক করা গেলেও সাথে থাকা অপর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের বিভিন্ন ঝোপঝাঁড়ে খুঁজতে গিয়ে পুলিশসহ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানান বাঁশখালী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নিগার সুলতানা।
এদিকে রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান উদ্ধারকারী থানা পুলিশের এসআই দীপক কুমার সিংহ।
ঘটনার ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “আবদুল্লাহকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর থানায় আসার পর পুলিশ তাদের মোবাইল ট্রেক করে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে। ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।”