বাঁশখালীর পুঁইছড়ির নাপোড়া এলাকা থেকে ইয়াবাসহ অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মো. ফিরোজ(৪১)কে জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। পুলিশ তার কাছ থেকে ৫০৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। গতকাল শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে পুঁইছড়ির নাপোড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ইয়াবাসহ আটক অপহরণ মামলার আসামি ফিরোজের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়। বর্তমানে ফিরোজ বাঁশখালী হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মীর ইকবাল সহ এলাকার যুবকরা মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করলে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায় এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে নাপোড়া মীর পাড়া এলাকার মীর ইকবাল সিকদারকে অপহরণ করে চাম্বল সোনারখীল চূড়ান্ত মুড়া এলাকায় নিয়ে যায় ফিরোজসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ী।
ঐ দিন গভীর রাতে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মিঠুন কান্তি দে ও আবদুল খালেককে আটক করে এবং মীর ইকবাল সিকদারকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মীর ইকবাল সিকদার বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে মো. ফিরোজ ইয়াবা পাচার করার সময় পুঁইছড়ির নাপোড়া এলাকায় জনতার রোষানলে পড়ে।
এ সময় জনতা তাকে গণপিটুনি দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী থানায় নিয়ে আসে এবং তার কাছে রক্ষিত ৫শ’ ৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। বর্তমানে ফিরোজ বাঁশখালী হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে ফিরোজের বিরুদ্ধে এই অপহরণ মামলাসহ বাঁশখালী থানার আগের মামলা নং-৭(৭)১২, ১৮(১১)০৮, ২৭(৭)১২ বর্তমানে বিচারাধীন আছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানার মামলা নং-১৯ রুজু করা হয়।
ইতিমধ্যে মিঠুন কান্তি দে ও মো. আবদুল খালেক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, “অপহরণ মামলার আসামী ইয়াবাসহ জনতার রোষানলে পড়েছে এই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।”
