বাঁধ অপসারণ না করায় জলাবদ্ধতা তীব্র হয়েছে

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৭ জুন, ২০২১ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

নগরের বিভিন্ন খাল থেকে বাঁধ অপসারণ না করায় জলাবদ্ধতা তীব্র হয়েছে বলে মনে করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, বৃষ্টি হবে। কিন্তু পানি যাওয়ার পথ থাকলে দ্রুত নেমে যাবে। এজন্য আমি এক মাস ধরে বলে আসছি, বড় বড় খালে দেওয়া বাঁধগুলো অপসারণ করার জন্য। কিন্তু করেনি। সেজন্য অল্প বৃষ্টিতেই চারদিকে ডুবে গেছে।
গতকাল দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, পুরো বর্ষা মৌসুম তো এখনো বাকি। তাই সিডিএ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান থাকবে, অবিলম্বে যেন বাঁধ অপসারণ করেন। এর মাধ্যমে যেন মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়।
তিন ফুটের চেয়ে ছোট নালা যেগুলো সিটি কর্পোরেশনের পরিষ্কার রাখার কথা, সেসব নালা পরিষ্কার না করায় বিভিন্ন গলি-উপগলি থেকে পানি মূল খালে আসতে পারছে না। এতে মূল সড়কে পানি কমলেও গলি থেকে পানি নামছে না বলে অভিযোগ আছে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মেয়র বলেন, এসব কথাবার্তা কেবল অজুহাত। ছোট নালা পানির প্রতিবন্ধক না। মূল খাল বন্ধ রেখে নালার দোষ দিলে হবে? যেমন চাক্তাই খালে বাঁধ আছে। এখন ছোট নালা থেকে পানি গিয়ে পড়বে চাক্তাই খালে। কিন্তু চাক্তাই খাল দিয়ে তো পানি যেতে পারছে না। একইভাবে মহেশখালের কথাও বলা যেতে পারে। সেটাও বন্ধ থাকলে পানি কোন দিক দিয়ে যাবে? কাজেই তারা যে অজুহাত দেখাচ্ছে সেটা ঠিক না। অপ্রয়োজনীয় এসব কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, ছোট কোনো নালায় মাটি আছে? বেশিরভাগ নালা আমরা পরিষ্কার করেছি। এত কিছু না বলে চাক্তাই খাল, হিজরা খাল, মহেশখালের বাঁধ পরিষ্কার করে দিলেই পারে।
প্রসঙ্গক্রমে মেয়র বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে যারা আছে তাদের সরে যেতে সকাল থেকে আমরা মাইকিং করেছি। জেলা প্রশাসনও এগিয়ে এসেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাচ্ছি। তাদের সাথে সমন্বয় হয়েছে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটও গেছে। খুলশীর অনেক জায়গা থেকে লোকজন যেতে চাচ্ছে না। আবার ওসিকে ফোন করলাম, যেন তাদের জোর করে হলেও আশ্রয়কেন্দ্রের পাঠিয়ে দেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁধ তো কেটে দিয়েছি, কোথাও বড় বাঁধ নাই
পরবর্তী নিবন্ধভারী বৃষ্টি হতে পারে আজও