সম্প্রতি পাড়ায় পাড়ায়, শহরের অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে একটি গ্যাং। এ গ্যাং এক আতঙ্কের নাম। এই সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের একটি অংশ। মহামারি করোনার চেয়ে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর সব অপরাধ। সম্প্রতি পাবজিসহ বেশ কিছু গেম খেলায় প্রতিক্রিয়ায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। মাদকের সহজলভাতাও অনেকাংশে দায়ী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপব্যবহারের ধ্বংস করে দিচ্ছে আগামী প্রজন্ম।
এর এর পিছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বড় সমস্যা। প্রভাবশালীদের মদদ, মাদক, দুর্বল পারিবারিক বন্ধন। প্রযুক্তির অপব্যবহার, হিরোইজম প্রবণতা ও অর্থের লোভ। আমি মনে করি প্রশাসনিক আইন দিয়ে কিশোর গ্যাং দমন করা সম্ভব না, যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা থেকে কিশোর গ্যাং বাঁচতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত যে ভাবে কিশোর গ্যাং দেশে বাড়তে থাকবে। রাজনীতি কোন্দল আধিপত্য বিস্তারগুলি কিশোর গ্যাং নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে। কিশোরদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সবাই উদাসীন, মা-বাবা উদাসীন। এই উদাসীনতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং।
এসব গ্যাংয়ের তৎপরতা অচিরেই বন্ধ করা উচিৎ। গ্রামে এবং শহরের কোন এলাকায় কে বা কারা গ্যাং তৈরি করছে তাদেরকে খুঁজে বের করা, তাদেরকে কাউন্সেলিং করা কোনো ব্যাপার না। যদি পরিবার পরিজন অভিভাবক, সমাজের জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনসহ আন্তরিক ভাবে উদাসীনতার উর্ধ্বে উঠে তাহলে কিশোর গ্যাং অতিদ্রুত বন্ধ করা সম্ভব। আসুন সবাই এক মিলেমিশে এক সাথে সামাজিক আন্দোলন গাড়ে তুলি।