বহুধা বিভক্ত মুসলিম জাতির পুনর্জাগরণে মুসলিম লীগের যুগান্তকারী ভূমিকা রয়েছে

চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভায় মহসিন রশীদ

| সোমবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ বলেছেন, ১৯০৫ সালে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ‘নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’ নামে অধিকারবঞ্চিত মুসলমানদের একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। তখন ভারতীয় কংগ্রেসের দাবি ছিল বৃটিশ থেকে অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা। আর মুসলিম লীগের দাবি ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলমানদের পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তখন মুসলিম লীগের বাস্তবসম্মত যৌক্তিক দাবির প্রতি ঐকমত্য পোষণ করে কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলিম লীগে যোগ দেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৃটিশ সাম্রাজ্যের রাণী এলিজাবেথ ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এর স্বাধীনতা এবং একদিন পর ১৫ আগস্ট ভারত রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। আজকের প্রজন্মকে মুসলিম লীগ গঠনের প্রেক্ষাপট, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও যুগে যুগে অবদানের কথাগুলো জানাতে হবে।

তিনি গত শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে মুসলিম লীগ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন দলের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের। দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মানবাধিকার গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নাজমুল হাসান সেলিম। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রোটারিয়ান এম এ মতিন, কেন্দ্রীয় সদস্য লিয়াকত আলী, সাংবাদিক কামরুল হুদা, শাহজাদা এস এম সিরাজদ্দৌলাহ, কাজী মোস্তফা সেলিম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, মোহাম্মদ ঈছা চৌধুরী জাহাঙ্গীর, হাবীব উল্লাহ তালুকদার বাহার, মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সরওয়ার হোসেন, কবিশিক্ষক লায়ন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, প্রকৌশলী তাওহীদুল আমিন, মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী মিন্টু, মোহাম্মদ ইউছুফ সওদাগর, মুহাম্মদ ইমরান ও মানবাধিকার সংগঠক মোহাম্মদ সোহরাব মহসিন রেজা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপতিত সরকারের দোসরা মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত
পরবর্তী নিবন্ধঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের শামিল