দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দ্রুত নগরায়ন শুরু হলে বহদ্দারহাটের মধ্যেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। ডেভলেপার কোম্পানী ইকুইটির সহযোগিতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বহদ্দারহাট মোড়ে একটি ঘড়ি টাওয়ার স্থাপন করে। গ্রাম থেকে শহরে আসা অনেক লোক এই টাওয়ারের ঘড়ি দেখে সময় ঠিক করত। দেশের উন্নয়নের জন্য ঘড়ির গুরুত্ব অপরিসীম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্দের সময় বার্লিন নগরী ধ্বংসস্তুূপে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু তারা মূল্যবান সময়কে গুরুত্ব দিয়েছিল। সময় মূলবান ধন। মরহুম ওবায়দুল হক সাহেব আজাদী অফিসে চাকরি করতেন। তিনি একবার বার্লিন ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে এসে একটি বই লিখেছিলেন ‘বার্লিন প্রবাসে’। সে বই পাঠ করলে বুঝা যায় বার্লিনের জনসাধারণ সময়কে কাজে লাগিয়ে আজ সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি নগরী ২য় বিশ্বযুদ্ধের শিকারে পরিণত হয়েছিলো। সময়কে গুরুত্ব দিয়ে আজ তারা কতই না উন্নত। দুঃখের বিষয়, গত সরকারের আমলে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ঐ ঘড়ি টাওয়ারটি ভেঙে ফেলা হয়। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঐ ঘড়ি টাওয়ারটি ভেঙে তার উপর দিয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। তারপর ঘড়ি টাওয়ারটি পুনঃনির্মাণ করা হয়নি।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট টাওয়ারটি পুনঃনির্মাণের দাবী করছি।
মো. শাহনওয়াজ
২৫৭ শুলকবহর, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।