জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সারা দেশের যেসব স্থানে শহীদরা প্রাণ দিয়েছেন, সেখানে তাদের স্মরণে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপন করা হচ্ছে। নগরেও এমন দুটি ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ করা হচ্ছে বহাদ্দারহাট ও মুরাদপুরে। গতকাল বুধবার দুপুরে বহদ্দারহাটে শহীদ ফারুকের মেয়েসহ শহীদদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।
এ সময় তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহতদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় সরকার পুনর্বাসন করবে বলে জানান তিনি। বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত এবং নিহত পরিবারের স্বজনদের যাতে মানবেতর দিনযাপন করতে না হয় সেজন্যে আলাদা অধিদপ্তর গঠন করার মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে। তারা যেন পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে সেই পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সামনের দিনে যারা রাষ্ট্র শাসন করবে তারা যেন আর স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করতে না পারে সেজন্য দেশের ৮৬৪ স্থানে যেই স্থানে শহীদ হয়েছে সেসব জায়গায় স্থায়ীভাবে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হচ্ছে।
জুলাই–অভ্যুথানে ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হযেছে। এখানে দুটি ব্যাপার আছে। একটা দ্রুত বিচার এবং একটি ক্যাঙ্গারু বিচার। দীর্ঘসূত্রতা সেটাও বিচারহীনতা। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী দুটি আদালত গঠন করা হয়েছে, অপরাধ ট্রাইব্যুানাল গঠন করা হয়েছে। সেই ট্রাইব্যুনালে আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন বিচারপ্রক্রিয়া হচ্ছে। কোনোভাবে কেউ যাতে কোনো ক্ষেত্র থেকে বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে না পারে। আগে কী কোনোদিন দেখেছেন,বিচার প্রক্রিয়া আদালত থেকে সরাসরি সম্প্রচার হয়? এগুলো হবে, সারা বিশ্ব যেন দেখে আমাদেরও বিচার করার সক্ষমতা আছে।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এসব ফলক নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।