বহদ্দারহাটে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ’ স্মৃতি স্মারক নির্মাণ

আজ উদ্বোধন

মোরশেদ তালুকদার | বৃহস্পতিবার , ৭ মার্চ, ২০২৪ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। স্বাধীনতার সঙ্গে বেতারের জড়িয়ে থাকা এ স্মৃতি ধরে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর অংশ হিসেবে নগরের বহদ্দারহাটে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ’ শীর্ষক স্মৃতি স্মারক বা ভার্স্কয নির্মাণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এর উদ্বোধন করবেন।

জানা গেছে, নির্মাণ করা স্মৃতিস্মারকটি পিরামিড আকৃতির। যা কাচ দিয়ে তৈরি করা। কাচের ভেতর রয়েছে একটি মাইক্রোফোন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের সময় যে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছে এটি তার প্রতীক। পিরামিডকে মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ কোটি বাঙালির ঐক্যবদ্ধের প্রতীককে বুঝানো হয়।

এছাড়া পুরো স্মৃতিস্মারকটির চারপাশে রয়েছে ফোয়ারা। এছাড়া দুই পাশে আরো দুটি ফোয়ারা নির্মাণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাকি খালি জায়গায় করা হচ্ছে বাগান। কয়েকমাসের মধ্যে এ বাগান দৃশ্যমান হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছে। তার স্মৃতি ধরে রাখতে স্মৃতিফলক করেছি। তিনি বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের জন্য যাদের দেয়া হয়েছে তারাই এটির নির্মাণ কাজের অর্থ ব্যয় করেছেন। এখানে লাইটিং করা হবে। ঝর্ণা থাকবে। সবমিলিয়ে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে জায়গাটা।

জানা গেছে, ট্রেড ম্যাক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সৌন্দর্যবর্ধনে নিয়োগ দেয় চসিক। ওই প্রতিষ্ঠানটি ৮৫ লাখ টাকা খরচ করে স্মৃতিস্মারকটি নির্মাণ করে। মূল স্থাপনার উচ্চতা ১৮ ফুট এবং প্রস্থ ৩০ ফুট। স্মৃতিস্মারকটি নির্মাণে সময় লেগেছে চার মাস। স্মৃতিস্মারকটিকে ঘিরে পুরো এলাকাকে মিনিপার্কের আদলে করা হবে। স্মৃতিস্মারকের আর্কিটেকচারের দায়িত্বে ছিলেন স্থপতি আজমুল হক। ভাস্কর সুকান্ত ভট্টচার্য এবং মান্না ঘোষ এটি নির্মাণ করেন।

ট্রেড ম্যাক্সের স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদ মাহমুদ আজাদীকে বলেন, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠকে নতুন প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে এটি নির্মাণ করা হয়। প্রথমে এখানে একটি কম বাজেটের ক্লক টাওয়ার করার পরিকল্পনা ছিল। পরে মেয়র মহোদয়ের একান্ত আগ্রহে প্রকল্প সংশোধন করে নতুন রূপ দেয়া হয়। স্মৃতিস্মারক ভাস্কর্য এবং ফোয়ারাসহ মিলিয়ে এখানে মিনিপার্ক ঘরে উঠবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধবাজারে কারসাজি হলে ব্যবস্থা নিতে র‌্যাবকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ