বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, হলুদ সাংবাদিকতা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কাজেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। সংবাদে সমালোচনা থাকবে, তবে সেটা গঠনমূলক হতে হবে। সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এ পেশায় আসতে হলে বেশ পড়াশোনা করতে হয়।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, হলুদ সাংবাদিকতা নির্মূল করতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মূলধারার সাংবাদিকদের সংবাদ করতে গিয়ে যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয় সেজন্য বর্তমানে সাংবাদিক হওয়ার আবেদন করলে তাকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে। তাছাড়া যারা স্নাতক পাস করেননি, কিন্তু ৫–১০ বছর ধরে কাজ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের কাজের শুরুর যোগদানপত্র উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়া আগামীতে সাংবাদিকতা পেশায় কেউ আসতে চাইলে তাকে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে– এমন সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মশালায় সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি এবং প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪–এর আলোকে সাংবাদিকদের করণীয় বিষয়ে রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মোঃ সাঈদ হাসান। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।