যদি একগুচ্ছ শুভ্র বেলী হতাম,
তবে আমার মন মাতনো সৌরভের মাদকতায়
তোমাকে কাছে ডেকে নিতাম।
আমিতো বেলী নই, নিতান্ত সাধারণ একটি ফুল।
যদি গোধূলির আকাশে সোনালী রোদ হতাম,
তবে, আমার সোনালী আভায় তোমার চোখে
ভালোলাগায় কিছুসময় আশ্রয় নিতাম।
আমিতো সোনালি রোদ নই,
নিতান্ত সাধারণ কটকটে রোদেলা দুপুর।
যদি পূর্ণিমার জোছনাকুমারী হতাম,
তবে তোমার আঙিনায় আছড়ে পড়তাম
আমার সমস্ত আলোরছটা ছড়িয়ে।
আমিতো জোছনাকুমারী নই,
নিতান্ত সাধারণ মরা চাঁদের মৃদুআলো।
যদি বরষার একপশলা বৃষ্টি হতাম,
তবে তোমার আকাশজুড়ে গুমোট অভিযোগে
ভিজিয়ে দিতাম সকল অভিমান।
আমিতো বৃষ্টি নই,
নিতান্ত সাধারণ চোখের জল।
যদি মেঘবালিকা হতাম,
তবে তোমার বিশাল গগনে ভেসে বেড়াতাম
মনের সকল ইচ্ছে ঘুড়ি হয়ে,
আমিতো মেঘবালিকা নই,
নিতান্ত সাধারণ হালকা মেঘ।
যদি সত্যি তোমার প্রেয়সী হতাম,
হয়তো আমারও বসন্ত প্রহর আসতো বারেবারে।
আমিতো প্রেয়সী নই,
নিতান্ত সাধারণ একজন ঘরণী।
যে শুধু ভালোবাসতে জানে, ভালো রাখতে জানে।
রঙিন, বেরঙিন খামে চিঠি লিখতে জানে,
রঙধনুর সাতরঙে সুখদুঃখের বসন্ত প্রহরে।