মাঝে মাঝে হারিয়ে যাই যেন বিত্তের মোহনায়
তোমার চঞ্চল শিহরণ আমি ভুলে যাই!
আমি খুঁজি অথৈ জলের গ্রোতে,দিক হতে দিকে
দিকভ্রান্ত হই অবশেষে খুঁজে খুঁজে অর্থ তোমাকে।
বসন্ত এলো যে কবে! প্রকৃতি সেজেছে নূতন সাজে
আমি যে বিত্তের আবর্তনে বৃত্তে দাঁড়িয়ে আছি
নানান কাজে
দু–চোখ মেলে দেখিনাই তার নিজস্ব অপূর্বতা–
কে আমার গোপনে নিয়েছে বল –এই সজীবতা!
আর কেহ নয়; সৌখিন জীবন যখন মত্ত বেসামাল চাহিদায়
প্রকৃতি দেয়না যে ধরা আর, সেও রয় মত্ত আপন সত্তায়—
সেও আপনি বিকাশে; কেহ তারে না চাহিলে ফিরি
সে তাহারে আহবান করে না; করে লুকোচুরি।
জীবন সত্তার দুর্নিবার গতি –পারে না ফেরাতে
প্রকৃতির নীরব আবর্তন; মানবীয় কোন শক্তি তাকে
পারে না স্থিরতা দিতে –সে নীরবে গোপনে বিকাশিত হয়–
মানুষ বিলাসী–নিঃস্ব যাই হোক, প্রকৃতি সবারে
তার সুরভি বিলায়।