বসতবাড়ির পাশ ঘেঁষে গভীর করে কাটা হয়েছে ফসলি জমির মাটি। এতে বসতঘর ঘেঁষে সৃষ্টি হয়েছে বিশালাকার খাদ। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেই খাদে ধসে পড়তে শুরু করেছে তিনটি বসতঘর আর বাড়ির আঙিনা। ইতোমধ্যেই একটি বসতঘরের কিছু অংশ ধসে পড়েছে। বাকি দুটি ঘরও যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড খলিফা পাড়ার পূর্ব পাশে দেখা গেছে এই চিত্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশালাকার জায়গাজুড়ে এঙকেভেটরের ক্ষতচিহ্ন। ফসলি জমিগুলোকে কোথাও ২০ ফুট, কোথাও ২৫ ফুট গভীর করে কাটতে কাটতে একেবারে পুরো একটি বিল ডোবায় রূপান্তর করা হয়েছে। চারদিকে ফসলি জমির মাটি কাটার গভীর খাদ। সেই খাদের এক কিনারায় পাশাপাশি রয়েছে তিনটি বসতঘর। সেখানে বাস করেন দরিদ্র কাজী মুহাম্মদ হারুন, বানু আক্তার ও মুহাম্মদ ফরিদের পরিবার। তাদের বসতঘরের পাশ থেকে গভীর করে ফসলি জমি কেটে নেয়ার কারণে সামপ্রতিক বৃষ্টিতে ভেঙে পড়তে শুরু করেছে তাদের ঘরগুলো। ইতোমধ্যেই কাজী মুহাম্মদ হারুন ও মুহাম্মদ ফরিদের বাড়ির আঙিনা এবং স্বামীহারা বানু আক্তারের ঘর ভেঙে পড়ে গেছে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। অসহায় এসব পরিবারের বাসিন্দাদের ঈদ আনন্দ তাই বিষাদে রূপ নিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে এসব মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে গেছে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান এবং ২০ কেজি করে চাউল দেওয়া হয়েছে। এ সময় এই ফসলি জমির মাটি কাটার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করার জন্য সার্বিক সহায়তা করবেন বলে জানান।