টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এরই মধ্যে খেলে ফেলেছে চারটি আসর। সময় পেরিয়ে গেছে দশ বছর। ম্যাচ খেলে ফেলেছে ১৬টি ম্যাচ। কিন্তু একটি জয় ছিল অধরাই। তবে দশ বছর পর এলো কাঙিত সেই জয়। আর এই কাঙিত জয়ের আনন্দ–উৎসবটা হতে পারতো ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের সেই সুযোগটা হলো না। কারন রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশ থেকে নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যদিও টুর্নামেন্টটি সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কাগজে–কলমে কিন্তু আয়োজক বাংলাদেশই। এবারের বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছিলেন তারা প্রথমে একটি জয় চান। তারপর অন্যকিছু ভাববে। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম সেই জয় তুলে নিল বাংলাদেশের নারীরা। আর এমন জয়ের আনন্দের মাঝেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন নিগার–মারুফারা। কাঁদলেন মাঠের মধ্যেই। সেদিন আবার জ্যোতি এবং মারুফা করেছেন অন্যরকম সেঞ্চুরি। জ্যোতি খেললেন তার শততম টি–টোয়েন্টি ম্যাচ আর মারুফা তুলে নিয়েছেণ টি–টোয়েন্টিতে তার শততম উইকেট।
তাইতো ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা বললেন এই জয় আমাদের জন্য অনেক কিছু। ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে খেলতে না পারার কষ্ট পোড়াচ্ছে নিগারদের। তারপরও সব ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চান তারা। নিগার বলেন শুরুতে এটা আমাদের অনেক কষ্ট দিচ্ছিল। কারণ আমাদের মনের মধ্যে ছিল দেশের মানুষদের সামনে খেলব। তবে এই দল এখানকার মানুষ দেখে ভালো লাগছে। বাংলাদেশের কয়েকজন সমর্থকও ছিল এখানে। মনের কষ্ট মনেই রেখে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিগারদের। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন পেশাদার দল হিসেবে আমাদের এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে খেললে কী হতো, এটা ভাবা বন্ধ করতে হবে। এখানে খেলতে পারছি, সেটাও আমাদের বড় সৌভাগ্য। নিগার বলেন আমরা নিরাপদে আছি এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। বেশ কয়েকজন দর্শকের সামনে ভালো একটি জয় পেয়েছি। নিশ্চয়ই দেশের মানুষও অনেক খুশি। আমার সেটাই মনে হয়। আমাদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি, অবশ্যই তারা বেশ আনন্দ অনুভব করছে। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১১৯ রান দাঁড় করায় বাংলাদেশের মেয়েরা। জবাবে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে থামে স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে ১৬ রানে।