বর্ষা শেষে শরৎ এসে গেল। প্রকৃতিতে মেঘ বৃষ্টির খেলা। শিউলি ফোটা মিষ্টি সকালে ছোটদের সাংস্কৃতিক বিদ্যালয় সোনারতরী ও শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চা প্রতিষ্ঠান রক্তকরবী আয়োজন করে ‘মেঘ ও রৌদ্র’ শিরোনামে সঙ্গীতানুষ্ঠানের। সেই সাথে সোনারতরীর শিক্ষার্থীদের আঁকা বর্ষা ও শরৎ নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী। গত শুক্রবার ফুলকির সুগত প্রসাদ বড়ুয়া মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথম পর্বের শুরুতেই সোনারতরীর আনন্দ, মুগ্ধ, সৃষ্টি, ব্যাপ্তী ও শিখর শ্রেণির সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের দলীয় পরিবেশনায় রাগ বৃন্দাবনী সারেং পরিবেশন করে। একে একে বর্ষা ও শরতের গান পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা। সোনারতরীর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় যন্ত্রানুষঙ্গে সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সহযোগিতা করেন।
দ্বিতীয় পর্বে রক্তকরবী শিল্পীরা তাদের পরিবেশনায় শুরুতেই শুভ্রতা দাশের ‘এসো শরতের অমলমহিমা’ গানটি দর্শকদের মনে শরতের মহিমা ছড়িয়ে দেয়। বৃন্দ পরিবেশনায় ছিল ‘বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে, তোমার মোহন রূপে, বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ ওগো শেফালি বনের ও নব কুন্দধবলদল সুশীতলা গান। আর একক ও দৈত পরিবেশনায় ‘হৃদয়ে ছিলে জেগে–সৃষ্টি বড়ুয়া, তোমার নাম জানিনে–সোমা রায়, অমল ধবল পালে লেগেছে–শিল্পী তালুকদার, আমার নয়ন ভুলানো এলে–গার্গীদাশ, তোমরা যাই বলো তাই বলো–মুনমুন দে, এবার অবগুণ্ঠন খোলো–রুদ্র সওদাগর, শরৎ আলোর কমলবনে–রোজী বিশ্বাস, আমার রাত পোহালো–সোমা বড়ুয়া, রাজেশ কর, হেলা ফেলা সারাবেলা–অনিন্দতা হোড়, এমিলি দাশ এবং দেখো দেখো শুকতারা–রুদ্রিতা বড়ুয়ার গান। যন্ত্রনুষঙ্গে ছিলেন তবলায় সানি দে, কীবোর্ডে সৃজন রায়। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক শীলা মোমেন। শেষে অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম, ফুলকি ট্রস্টেও সম্পাদক ওমর কায়সার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক এ কে এম কৌশিক আহমেদ অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের অভিব্যাক্তি সকলের সামনে ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন শিক্ষক পূজা বিশ্বাস। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।