বর্ষার শুরুতেই বেহাল সড়ক

তথ্য সংগ্রহ আজ মাঠে নামছে চসিক এরপর শুরু হবে সংস্কার কাজ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২২ জুন, ২০২২ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

বৃষ্টি কমেছে। ধীরে ধীরে নামছে শহরের জলাবদ্ধ এলাকার পানিও। তবে এবার নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পাঁচদিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক। বিটুমিন, ইট, বালি ওঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তের অধিকাংশে আবার জমে আছে পানি। দূর থেকে মনে হয় মিনি পুকুর। কয়েক মাস আগে প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার সড়কও রয়েছে এ তালিকায়।

এদিকে চলতি বর্ষায় এ পর্যন্ত কি পরিমাণ সড়ক নষ্ট হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহে আজ থেকে মাঠে নামার কথা রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রকৌশল বিভাগের। এরপর প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার করবে সংস্থাটি। গত বছর (২০২১) বর্ষার প্রথম ১৭ দিনে ৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়। এর আগে ২০২০ সালে বর্ষায় ক্ষতি হয় ১৭০ কিলোমিটার সড়ক। আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে গত দুই বছর সড়ক সংস্কারে বেকায়দায় পড়তে হয় চসিককে। গত বছর সড়ক সংস্কারের জন্য চাহিদা ছিল ৯১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পত্রও দেন মেয়র। তবে কাঙ্ক্ষিত সে বরাদ্দ পায়নি চসিক। এবারের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক প্রসঙ্গে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রাস্তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা প্যাচওয়ার্ক এর মাধ্যমে দ্রুত মেরামত করে দিব। প্রকৌশলীদের মৌখিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করতে বলে দিয়েছি। তারা রিপোর্ট করলে সংস্কার কাজ শুরু করবো।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মানিক আজাদীকে বলেন, আগামীকালের (আজ) মধ্যে মোটামুটি কত কিলোমিটার সড়ক ক্ষতি হয়েছে এবং মেরামত করতে কত টাকা লাগবে তা নিরুপণ করতে পারবো। নির্বাহী প্রকৌশলীরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। এদিকে গতকাল নগরের বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শনে দেখা গেছে, হাটহাজারী সড়কের মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন, অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ, বিমানবন্দর সড়ক, শেখ মুজিব রোড, লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস, দেওয়ান হাট থেকে ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে আছে। বিমান বন্দর সড়কের ইপিজেড মোড়, মাইলের মাথা, স্টিল মিল মোড় বাজারের সামনে থেকে দীর্ঘ আধা কিলোমিটার, সিমেন্ট ক্রসিং এবং বন্দরটিলা এলাকায় সড়কে বড় বড় গর্ত হয়েছে। বিমান বন্দর সড়কের ভোগান্তি সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা সগীর আজাদীকে বলেন, নির্মাণাধীন এলিভেটেডে এক্সেপ্রেসওয়ের কাজের প্রভাবে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন সংস্কার না করা, নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গোড়া ভরাট না করা এবং ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি আগেই নষ্ট হয়েছে। গত বর্ষার পর ব্যাপক সমালোচনা হলে বেশ কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তা আগের রূপ ফিরে পেয়েছে।

এদিকে নগরের বাকলিয়া, চকবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় সড়কে গতকালও পানি জমেছিল। ফলে ওসব এলাকায় নষ্ট হওয়া সড়ক এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃষ্টির পানিতে বিটুমিন নষ্ট হয়ে সড়ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আসছেন আজ
পরবর্তী নিবন্ধরেলের আধুনিকায়নে ৩০ বছরের মাস্টার প্ল্যান