বর্ষার আগে খালের প্রতিবন্ধকতা দূর করার অনুরোধ সুজনের

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দখলকৃত খালসমূহ উদ্ধার, পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলীর সঙ্গে তার দপ্তরে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল সকালে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে কথা বলেন তিনি।

সুজন বলেন, চট্টগ্রামের জনগণকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বপ্রথম ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেন, যা চট্টগ্রামের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতা নিরসনের চলমান কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে গেলেও নগরীর বেশ কিছু এলাকা এখনো অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন মানুষ। আর এ দুর্ভোগ থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের পূর্বে খালের ভিতর থেকে সকল মাটি ও আবর্জনা অপসারণ এবং খালের মুখের প্রতিবন্ধকতা দূর করার অনুরোধ জানান তিনি।

নগরীর মুরাদপুর, ২ নং গেট, বহদ্দারহাট, চকবাজার ও চাকতাই এলাকার অবশিষ্ট কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশনা কামনা করেন। এছাড়া বর্ষা মৌসুমের আগে চাকতাই খালের মুখে স্থাপিত স্লুইসগেটটি চালু করার আহবান জানান সুজন। তিনি বলেন, ফইল্যাতলী বাজার থেকে মহেশখালের মুখ পর্যন্ত কাজগুলো বর্ষার আগে শেষ করতে পারলে নগরীর বিশাল একটি অংশ জলজট থেকে মুক্তি পাবে। এছাড়া মহেশখালের মুখের স্লুইসগেটের দ্বার উন্মোচন করা এবং মহেশখালের শাখা খাল তথা ঈশান মিস্ত্রি হাটের সম্মুখ অংশে আরেকটি স্লুইসগেট নির্মাণের কাজও শুরু করার আহবান জানান। এছাড়া হিজড়া খাল, মির্জা খাল ও রাজাখালী খালের কাজসমূহ শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, নগরীর যে সমস্ত খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে সেসব বাঁধ অপসারণ করে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে খালগুলো সম্পূর্ণ পানি চলাচলের উপযোগী করা হবে। যেসব খালে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোও সহসা চালু করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন ও স্বরূপ দত্ত রাজু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ক্বারী রেজাউল মোস্তফা জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় হলেন
পরবর্তী নিবন্ধকর্মবিরতিতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা, কাস্টমসে সব ধরনের সেবা বন্ধ