বর্ষায় মীরসরাইয়ের ঝরনায় বিপদ

দুর্ঘটনা রোধে এখনই উদ্যোগ প্রয়োজন

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | শনিবার , ১৪ জুন, ২০২৫ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

আষাঢ় মাস শুরু হচ্ছে। ধীরে ধীরে জেগে উঠছে মীরসরাই উপজেলার ঝরনাগুলো। বাড়ছে ঝরনার চঞ্চলতা আর কলতান। ঝরনার এ রূপ উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের আগমন বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি কয়েক বছরে মীরসরাইয়ের খৈয়াছরা, রুপসী ও বোয়ালিয়া ঝরনায় বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। বর্ষায় ঝরনাগুলো বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। দুর্ঘটনা রোধে পর্যাপ্ত গাইড ও সতর্কতা ব্যবস্থা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এবারের ঈদুল আযহার ছুটিতে ঝরনায় পর্যাপ্ত পানি না হওয়া সত্ত্বেও অনেক দর্শনার্র্থী ছুটে এসেছেন। গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন দর্শনার্থী ঝরনা থেকে পা পিছলে আহত হয়েছেন। মীরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সোহান জানান, আহতরা অসতর্কভাবেই উপরে উঠছিল, তাই পিছলে পড়ে দুজন মাথায় ও পায়ে আঘাত পেয়েছে। ভাগ্যক্রমে প্রাণ রক্ষা হয়েছে। আহতরা হলেন কর্ণফুলীর উপজেলার ইফতেখার (৩২) ও মোতাহের (৪২)

মীরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, বিশেষ করে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেলে ঝরনায় পানি বেড়ে যাবে। ঝরনাগুলোতে যাবার সময় এই বিষয়ে কিছুটা সতর্ক থাকা এবং ঝরনার উপরের ঝুঁকিপূর্ণ পিচ্ছিল ধাপগুলোতে কোনভাবেই উঠার চেষ্টা না করাএসব ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সাঁতার না জানলে কূপের পানিতে না নামার বিষয়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি।

মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে উঠে পিছলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ দুর্গম উঁচু স্থানে না উঠে ঝরনার জলে নিচে থেকে সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারছেন। আবার অনেক তরুণ যুবক সাঁতার না জেনেই ঝরনার কূপে ডুব দিতে যাচ্ছে, এতে সে তলিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারগুলো ও দর্শনার্থীদের ভাবা উচিত। ইতোমধ্যে আমরা এসব বিষয়ে সচেতনতায় সতর্কতা নির্দেশনা দিয়েছি। এইসব নির্দেশনা সকলেই মেনে ঝরনা এলাকায় গেলে আশা করছি নিয়ন্ত্রণ হবে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

বন বিভাগের খৈয়াছরা বিট কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সতর্কতার বিষয়ে আরো প্রয়োজনীয় উদ্যোগের পূণঃপ্রস্তাবনা প্রদান করবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইরান চুক্তি না করলে আরও নৃশংস হামলা : ট্রাম্প
পরবর্তী নিবন্ধদেশে কোভিডে এক দিনে ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫