ভারতের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা আর্শদিপ সিংয়ের সামনে দারুণ এক স্বীকৃতির হাতছানি। এই সংস্করণের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার। সেরার লড়াইয়ে আরও মনোনয়ন পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড, পাকিস্তানের বাবর আজম ও জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। ২০২৪ সালের সেরা পুরুষ ও নারী টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকা রোববার প্রকাশ করেছে আইসিসি। মেয়েদের বর্ষসেরার লড়াইয়ে জায়গা পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট, নিউ জিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার ও আয়ারল্যান্ডের ওর্লা প্রেন্ডারগাস্ট। গণমাধ্যম প্রতিনিধি, আইসিসি ভোটিং একাডেমি এবং সমর্থকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন বিজয়ী। আইসিসির ওয়েবসাইটে ভোট দিতে পারবেন সমর্থকরা। জানুয়ারির শেষ দিকে ঘোষণা করা হবে বিজয়ী। এই চারজনের মধ্যে ২০২৪ দারুণ কেটেছে আর্শদিপের। দেশের হয়ে ১৮ টি–টোয়েন্টি খেলে ৩৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি সাড়ে ১৩ গড়ে। ৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন চলতি বছরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। এ বছর জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৪ টি–টোয়েন্টি খেলেছেন সিকান্দার রাজা। ২৮.৬৫ গড়ে করেছেন ৫৭৩ রান। ক্যারিয়ার সেরা ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি এই বছরই। আগামী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকার উপ–আঞ্চলিক বাছাইপর্বে গাম্বিয়ার বিপক্ষে। পাশাপাশি স্পিন বোলিংয়ে নেন ২৪ উইকেট। রুয়ান্ডার বিপক্ষে গত অক্টোবরে ১৮ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি, যা টি–টোয়েন্টিতে তার সেরা বোলিং। এদিকে গত ১২ মাসে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাবরের চেয়ে বেশি রান করতে পারেননি পাকিস্তানের আর কেউ। এবছর ২৪ টি–টোয়েন্টি খেলে ৬ ফিফটিতে ৩৩.৫৪ গড় ও ১৩৩.২১ স্ট্রাইক রেটে করেন ৭৩৮ রান। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়ার দুয়ারে বাবর। ৪ হাজার ২৩১ রান নিয়ে তালিকায় শীর্ষে রোহিত শার্মা। বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিকে বিদায় বলা ভারতীয় ব্যাটসম্যানের চেয়ে স্রেফ ৮রান পিছিয়ে আছেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৫ টি–টোয়েন্টি খেলেছেন ট্রাভিস হেড। ৩৮.৫০ গড় ও ১৭৮.৪৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫৩৯ রান। এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক পঞ্জিকাবর্ষে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান হেড। অস্ট্রেলিয়ান বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ১৫৮.৩৮ গড়ে করেন ২৫৫ রান। আসরে তার চেয়ে বেশি রান করতে পারেন আর কেবল দুইজন। এখন দেখার বিষয় কার হাতে উঠে আইসিসি বর্ষ সেরা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কার।