ইংরেজি নববর্ষ বরণে খাগড়াছড়িতে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য খাগড়ছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ও রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে যাচ্ছে পর্যটকরা। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেলে কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। করোনার কারণে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ কম থাকায় দেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় বাড়ছে। তবে মানা হচ্ছে না করোনা স্বাস্থ্যবিধি। খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের গন্তব্য রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে। যাতায়াত সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেকে যাতায়াত করে। পর্যটকদের আগমনে মুখরিত রুইলুই ও কংলাক পাড়া। অধিকাংশ হোটেলে ও কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১৮শ ফুট কংলাক পাড়া থেকে দেখা মিলছে মিজোরামের পাহাড় এবং মেঘ। প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা। খাগড়াছড়িতে বেড়া আসা পর্র্যটকরা জানান , করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিলাম। এসময়ে পাহাড়ের সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানকার মেঘ ও পাহাড়ের সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে। তাই নতুন বছর বরণে খাগড়াছড়িতে আসলাম। এছাড়া এখানে আসার চলাচলের পথ বেশ উপভোগ্য। অতিথি বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। নতুন বছর বরণে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা। করোনার কারণে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকায় দেশীয় পর্যটকের চাপ বেড়েছে বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। নতুন বছর উপলক্ষ্যে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলে ইউনিট ব্যাবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের বিপুল সমাগম হবে আশা করছে। করোনার কারণে অনেকে বিদেশে যেতে পারছে না। তারা দেশে ভ্রমণ করছে। খাগড়াছড়িতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম বেড়েছে। নতুন বছরে আগত পর্যটকদের জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি।
প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ সন্তোষ ধামাই জানান , পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া সাজেকগামী পর্যটকদের ভ্রমণের সহায়তা করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকরা নিরাপদে নতুন বছর বরণ করতে পারবে।