কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাষা সাহিত্যের চর্চা ও বিকাশের সাথে সাথে তিনি পাঠাগার প্রতিষ্ঠার প্রসারে আন্দোলন করে গেছেন নীরবে। তাঁর আন্দোলনের মূল বিষয়বস্তু ছিল বিশ্ব পরিচিতির অন্যতম মাধ্যম বই পড়া, আর সেটি সম্ভব পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে ও স্বদেশীদের অন্যতম মিলন ক্ষেত্র ও স্বাধিকারের সূতিকাগার ছিল পাঠাগার।
বর্তমান প্রযুক্তির বিশ্বেও সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পাঠাগারের ভূমিকা অপরিসীম। লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম চট্টগ্রাম কেন্দ্র, উত্তর ফতেয়াবাদ নন্দিরহাটে স্মৃতি ফলক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এই মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি লোকনাথ সেবাশ্রম পাঠাগার কক্ষে বিভূতি রঞ্জন দাশগুপ্ত ও কৃষ্ণা দাশ গুপ্তা স্মৃতিকক্ষ হিসেবে ফলক উন্মোচন করেন।
সভাপতি মনোজ কান্তি দে’র সভাপতিত্বে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেবাশ্রম ট্রাস্ট কো-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ। অধ্যাপক টিংকু চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শ্যামল পালিত, অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, প্রণব সাহা বাবলু, অশেষ কুমার পুরোহিত, লায়ন তপন কান্তি দত্ত, অধ্যাপক কৃষ্ণধন বিশ্বাস, সুমন দে, বিশ্বজিৎ পালিত, শুভ্রদেব কর, প্রকৌশলী বিবেক কান্তি দাশ, সুব্রত ভৌমিক, সুজন কুমার ভৌমিক প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।