বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নগরীর চান্দগাঁওয়ের কালারপুলে এক বছরের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চসিকের বর্তমান, সাবেক কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর মধ্যে যারা উল্লেখ্যযোগ্য তারা হলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, ১৭, ১৮, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর শাহিন আক্তার, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. হারুন উর রশীদ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পেয়ার মোহাম্মদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, নগর আওয়ামী লীগের উপ–প্রচার সম্পাদক ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শহিদুল আলম, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল হক, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আজিম নুরু, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. সেলিম উল্লাহ বাচ্চু ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. জাবেদ নজরুল। গতকাল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে ভিকটিম শিশুর প্রতিবেশী জসিম উদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী জুনাইদ উল্লাহ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নালিশি মামলাটি তদন্তের জন্য চান্দগাঁও থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২৬ জুলাই অসুস্থ শিশু সোলাইমান চৌধুরীকে চান্দগাঁওয়ের ধুমপুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরমধ্যে কালারপুল এলাকায় ছাত্র–জনতার উপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলে শিশু সোলাইমান চৌধুরীও গুলিবিদ্ধ হয়।