সুপ্রভাতে রংধনুর আবির মেখে
গায়ে জড়ালি তাঁতে বোনা শাড়ি,
হৃদয় কাঁপানো সাজে লাগছে অনন্যা
যেন এক চির যৌবনা নারী।
হলদে নীল আঁচল, জমিনে আঁকা দোয়েল, টিয়া
গলায় বেলির মালা, রূপে তুই অদ্বিতীয়া,
কপালে সবুজ টিপ, ঠোঁটে লালের ফোয়ারা
নজরকাড়া সাজে পাড়ার তরুণ বাকহারা।
এলোচুলে দাপিয়ে বেড়াস, যেন চঞ্চলা হরিণী
মেহেদি রাঙা আলপনায় অবাক হলো জয়নুল,
আলতা রাঙা চরণ, নাকে চাঁদের নোলক
চপলা বলে সুধায় রবীন্দ্র, নজরুল।
সেজেছিস তুই শিমুল, পারুলের খোঁপায়
রজনী, চাঁপা, গোলাপ হয়ে,
চোখের পলকে নষ্ট গদ্য পদ্য হলো
দুর্গতি নাশিনী কালবৈশাখীর ভয়ে।
তোর কারণে চৈত্র শেষে
বাঙালির ঘরে নেই ঘুম,
ধনী, গরিবের লালিত স্বপ্নে
লাগলো যেন খুশির ধুম।
বৈশাখী মেলায় সবার চাই নাড়ু, বাতাসা, খৈ
চিড়ার সাথে দারুণ মজা নারকেল, গুড়, দই,
পান্তার সাথে ইলিশ ভাজা, ভর্তা আর লংকা
বাঙালিয়ানার স্বাদ নিতে মেহমান আসে আচমকা।
বাবু থেকে বুড়ো বুড়ি সবার মিলন মেলা
বটতলায় ভিড় জমে তাই সকাল সন্ধ্যা বেলা,
গান, কবিতা, নৃত্যের তালে সবাই দিচ্ছে ডাক
ভোরের আলোর সাথে আসে পহেলা বৈশাখ।