করোনা মহামারীর মাঝে দারুণ ব্যবসা করা চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প খাতের বড় বড় কারখানাগুলোতে উৎসবের আমেজ চলছে। গত দুইদিন ধরে নগরীর বিভিন্্ন কমিউনিটি সেন্টার এবং গার্মেন্টসে খাওয়া-দাওয়াসহ উৎসবের ধূম লেগেছে। ছুটি ঘোষণা করে বিভিন্ন কারখানায় বর্ষবরণ এবং পিকনিকের আয়োজন চলে। হাজার হাজার গার্মেন্টস কন্যা নানা সাজে সেজে কারখানা অঙ্গন কিংবা কমিউনিটি সেন্টার মাতিয়ে রাখেন। শুধু বাঙালী মেয়েরাই নন, এদেশে গার্মেন্টস খাতে কর্মরত চীনসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরাও উৎসবে মেতে উঠে। অবশ্য আজ থেকে কারখানাগুলোতে আবারো পুরোদমে কাজ চলবে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
গত দুদিন চট্টগ্রামের অসংখ্য গার্মেন্টস কারখানায় বর্ণিল উৎসবে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। করোনা মহামারীর মাঝেও দারুণ ব্যবসা করেছে দেশের পোশাক শিল্প খাত। উপচে পড়া অর্ডার বড়-ছোট প্রতিটি কারখানায়। বহু কারখানা গোপনে সাব কন্ট্রাক্টে কাজ সারছে। চমৎকার একটি ব্যবসা সফল বছর পার করে গার্মেন্টস কারখানার মালিকেরাও শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে উৎসবের আয়োজন করেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর এবং গতকাল শনিবার নগরীর বিভিন্ন পোশাক কারখানায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া না পেয়ে বহু গার্মেন্টস কারখানার অভ্যন্তরেই উৎসবের আয়োজন করে। শত শত পোশাক শ্রমিক কন্যা বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে সামিল হয়েছেন উৎসবে। চীনা নারীরা বাঙালী সাজে সেজে নতুন চমকের সৃষ্টি করে। গতকাল কয়েকটি অনুষ্ঠানে চীনা নারীদের শাড়ি পরে সামিল হতে দেখা গেছে। বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, পুরো বছর আমাদের শ্রমিকেরা কঠোর পরিশ্রম করেন। তাই বছর শেষে তাদের বিনোদনের জন্য আমাদের বহু গার্মেন্টস মালিক উৎসবের আয়োজন করেছেন। আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা তাতে সামিল হয়েছেন। তারা খাওয়া-দাওয়া এবং নেচে গেয়ে দিনটিকে নিজেদের মতো করে উদযাপন করেছেন। আজ থেকে সবাই আবার পুরোদমে কাজ শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।