বর্ণিল আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডে নববর্ষ বরণ

| বুধবার , ১ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৭:২৭ পূর্বাহ্ণ

উৎসবমুখর পরিবেশে আকর্ষণীয় আতশবাজির মধ্য দিয়ে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৫ সালকে বরণ করে নিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিডনির অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজের আতশবাজির বিচ্ছুরণ দেখতে লাখ লাখ মানুষ জমায়েত হন। ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই দুই স্পটের আকাশে দেখা যায় বর্ণিল আলোকচ্ছটা ও আতশবাজি।

বর্ষবরণের আয়োজনে ফোটানো হচ্ছে নয় টন আতশবাজি। প্রথমবারের মতো, শোতে ড্রোনের মাঝ আকাশ থেকে আতশবাজি বিস্ফোরিত হওয়ার পাশাপাশি হারবার ব্রিজের পশ্চিম দিক থেকে প্রদর্শন দেখানো হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।

তবে সবার আগে নতুন বছর ২০২৫ সালকে স্বাগত জানায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কিরিবাতি। নববর্ষ উদযাপনকারী প্রথম এই দেশটির বৃহত্তম ক্রিসমাস দ্বীপ সবার আগে নতুন বছরে পদার্পণ করেছে। এরপরই দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নতুন বছরকে আতশবাজির ঝলকানিতে বরণ করে নিয়েছে ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ডের বিখ্যাত স্কাই টাওয়ারে আতশবাজির ঝলকানি এবং জমজমাট আলোকসজ্জা প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় নিউজিল্যান্ড।

বিডিনিউজ জানায় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পর নতুন বছরে পা দিয়েছে জাপান। রাজধানী টোকিওর তোদাইজি মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনি বাজানোর ঐতিহ্য মেনেই বর্ষবরণ করেছে দেশটি। গোটা বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য আবহাওয়াজনিত কারণে নতুন বছর উদযাপানের কিছু অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। ওদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াও বছরের শেষের ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর অনেটা নীরবেই পালন করছে নতুন বছর বরণের উৎসব।

অন্যান্য দেশগুলোতে ঐতিহ্য ও প্রচলিত প্রথা মেনে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর তোড়জোড় চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। স্পেনে নতুন বছরের কাউন্টডাউনের প্রতি মুহূর্তে একটি করে আঙুর খাওয়াই প্রথা। ১৯০৯ সাল থেকে চলে আসছে এভাবে নতুন বছর বরণের রীতি। আবার ডেনমার্কে থালা ছুড়ে স্বাগত জানানো হয়ে আসছে নতুন বছরকে। নতুন বছরের আগমনীতে যত বেশি থালা ছুড়া যাবে ততই শুভ ভাগ্য বয়ে আনবে নতুন সালএমনটিই বিশ্বাস করা হয় সেখানে।

ল্যাটিন আমেরিকার প্রথা হচ্ছে রঙচঙে অন্তর্বাস পরিধান করে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো। অন্তর্বাসের রঙের ওপর নির্ভর করে নতুন বছর একেক জনের জন্য একেক রকম ভাগ্য বয়ে আনবে বলে সেখানে বিশ্বাস করা হয়যেমন: হলুদ রঙ ধনসম্পদ আনে, লাল রঙ আনে ভালোবাসা। ফিলিপিন্সের মানুষ আবার নতুন বছরের আগমনীতে কয়েনের প্রতীক হিসাবে গোল জিনিস দিয়ে নিজেদের ঘিরে রাখে। এছাড়াও পোলকা ডটের কাপড় পরা এবং আঙুর খাওয়াও রীতি দেশটিতে।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের পর অনেকটা দেরিতেই নতুন বছরে পা দেবে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সবশেষে ২০২৫ সালকে বরণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় এলাকাগুলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইলন মাস্ক ইউরোপকে দুর্বল করতে চায় : জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর
পরবর্তী নিবন্ধবিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ