বর্ণবাদবিরোধী নেতার পরিবেশবান্ধব সৎকার

অ্যাকুয়ামেশন

| মঙ্গলবার , ৪ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুকে শেষ বিদায় জানাতে তার পরিবারের সদস্যরা গত রোববার সকালে জড়ো হয়েছিলেন কেপটাউনের সেন্ট জর্জেস ক্যাথেড্রালে, যেখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে তার দেহাবশেষ। দেশটির অ্যাংলিকান চার্চের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শেষ ইচ্ছ অনুসারে এই নোবেল বিজয়ীর শবদেহের সৎকার করা হয় ‘অ্যাকুয়ামেশন’ নামের এক পদ্ধতিতে, যা সাধারণ দাহকৃত্যের চেয়ে পরিবেশবান্ধব বলে বিবেচনা করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
অ্যাকুয়ামেশন হল পানিভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া, যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘অ্যালকালাইন হাইড্রোলাইসিস’। এ পদ্ধতিতে মৃদু পানিপ্রবাহ, তাপমাত্রা ও ক্ষারের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়, যার ফলে শরীরের জৈব উপাদানগুলো তুলনামূলকভাবে দ্রুত ভেঙে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে। অ্যাকুয়ামেশন নামের এই প্রক্রিয়ায় সৎকার সেবা দেয় বায়ো-রেসপন্স সলুশ্যনস নামের একটি কোম্পানি। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে চিতা বা বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শব দাহ করতে যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহৃত হয়, তার চেয়ে ৯০ শতাংশ কম শক্তি লাগে অ্যাকুয়ামেশনে। তাছাড়া কোনো ক্ষতিকারক গ্যাসও নির্গত হয় না। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্রিমেশন অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা বলছে, অ্যালকালাইন হাইড্রোলাইসিসকে অনেক সময় অগ্নিমুক্ত সৎকার হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। এ পদ্ধতিতে মরদেহকে অ্যালকালাইন হাইড্রোলাইসিস মেশিনে রাখতে হয়, যেখানে পানি ও ক্ষারীয় রাসায়নিকের দ্রবণে পূর্ণ একটি বায়ুরোধী চেম্বার থাকে। এরপর চেম্বারটি ধীরে ধীরে উত্তপ্ত করা হয়, ধীরে ধীরে তরলে পরিণত হতে থাকে শবদেহ; একপর্যায়ে শুধু রয়ে যায় হাড়। হাড়গুলো শুকিয়ে গেলে সেগুলো চূর্ণ করে ফেলা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুসলিম নারীদের নিলামে তুলছিলো ভারতীয় অ্যাপটি
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি আটক