চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরকে নান্দনিক, বসবাসোপযোগী, গ্রিন সিটি হিসেবে রূপান্তর করতে হলে পর্যায়ক্রমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও আধুনিকায়নের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে মান্ধাতার আমলের প্রক্রিয়াগুলোর পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মডেল অনুসরণ করে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে জাপানের জাইকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকা কর্তৃক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সম্ভ্যাব্যতা যাচাই বছাাই পূর্বক কিছু প্রস্তাবনা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া হয়েছে। এরই আলোকে মেডিকেল বর্জ্য অপসারণ করার জন্য হালিশহরস্থ আনন্দবাজারে টি.জি পাশে ইনসিনেরেটর প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। জাইকা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইনসিনেরেটর স্থাপন করছে। এ ইনসিনেরেটর প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিষাক্ত মেডিক্যাল বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনে উৎপন্ন বর্জ্য উৎপত্তিস্থল থেকে গৃহস্থালী, প্লাস্টিক, ধাতব এ তিন ভাগে করে অপসারণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনসমূহে এই নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় মনে করে জনবল সংকট ও আর্থিক সাশ্রয় বিবেচনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও আধুনিকীকরণে আউটসোর্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। বাস্তবতা নিরিখে বিষয়টিকে গুরচত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন ২৪ ও ০৭ নং ওয়ার্ডকে পরীক্ষামূলকভাবে আউট সোর্সিংয়ের আওতায় আনার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছে। পর্যায়ক্রমে ৪১টি ওয়ার্ডে আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার চসিক বাটালিহিলস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আবাসিক এলাকার সমন্বয়ক ফোরামের সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, সমন্বয় ফোরামের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. মহসিন, মো. এনামুল হক, এ এম জহিরুল আলম, শহিদুল্লাহ পাটোয়ারী, সাবেক কাউন্সিলর মো. জাবেদ নজরুল ইসলাম, পরিচ্ছন্ন বিভাগের জোন প্রধান আলী আকবর প্রমুখ।












