দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর গড়া ১৯৮ রান টপকে ম্যাচ জিতেছিল তামিমের দল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে সে ছন্দ আর ধরে রাখতে পারেনি তামিমের দল। ব্যাটে–বলে চরমভাবে ব্যর্থ বরিশালকে ৩০ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শিরোপা প্রত্যাশী দলটি টানা তৃতীয় ম্যাচ খেলল। গতকাল রাতে খুশদিল শাহ, নাহিদ রানা আর ইফতেখারের দুর্দান্ত বোলিং এর পর আলেঙ হেলস এবং সাঈফ হাসানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আরো একটি সহজ জয় পাইয়ে দেয় রংপুরকে। ১৫ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তুলে নেয় রংপুর। টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতে সবার উপরে এখন রংপুর রাইডার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ফরচুন বরিশাল ২৫ রানে হারায় নাজমুল হোসেন শান্তকে। প্রথম ম্যাচে এক বল খেলে রানের খাতা খোলার আগে আউট হওয়া শান্ত এবার ফিরেন ১০ বলে ৯ রান করে। একটি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। তাওহিদ হৃদয়ও পারলেননা তামিমকে সঙ্গ দিতে। তিনি ফিরেছেন ৬ বলে ৪ রান করে। শুরু থেকে ঝড় তোলার চেষ্টা করা তামিমও পারলেননা ইনিংস বড় করতে। ১৮ বলে ২৮ রান করে নাহিদ রানার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন তামিম। মেরেছেন ৫টি চার এবং একটি ছক্কা। মুশফিকুর রহিম এবং কাইলস মায়ার এ ম্যাচেও হলেন ব্যর্থ। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলে অসম্ভবকে সম্ভব করে জয় উপহার দেওয়া মাহমুদউল্লাহ এবং ফাহিম আশরাফ দুজনই শামিল হলেন ব্যর্থতার মিছিলে। ৯৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলা বরিশাল যখন শতরান করতে পারবে কিনা সে সংশয় দেখা দিয়েছিল তখন প্রতিরোধের চেষ্টা করেন আফগান মোহাম্মদ নবী। তার ১৯ বলে ২১ রানের উপর ভর করে ১২৪ রানে অল আউট হয় ফরচুন বরিশাল। তখনো দশ বল বাকি। মাঝখানে কাইল মায়ার্স ১৩, মুশফিকুর রহিম ১৫ এবং মাহমুদউল্লাহ করেন ১০ রান। রংপুর রাইডার্সের পক্ষে খুশদিল শাহ ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইফতেখার আহমেদ এবং নাহিদ রানা।
জবাবে ব্যাট করতে নামা রংপুর রাইডার্সকে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা দেন বিপিএলে অভিষিক্ত ইকবাল হোসেন ইমন। বিপিএলে নিজের প্রথম ওভারে আজিজুল হাকিম তামিম এবং তৌফিক খানকে ফেরান ইমন। ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া রংপুরকে টানেন আলেঙ হেলস এবং সাঈফ হাসান। এ জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে ১১৩ রান তুলে নিয়ে দলকে জয় উপহার দেন। সাইফ ৪৬ বল খেলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে আলেক্স হেলস ৪১ বল খেলে ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।