করোনায় কঠোর লকডাউনে ন্যায্যমূল্যের টিসিবির পণ্যের প্রতি সাধারণ মানুষের চাহিদা বেড়েছে। ঈদের আগে চট্টগ্রাম নগরীর জন্য প্রতিদিন ২২টি ট্রাক বরাদ্দ ছিল। ঈদের পর মাত্র ৮টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ৮টি ট্রাক কখন কোথায় যাবে ক্রেতারা জানেন না। বিভিন্ন স্পটে টিসিবির পণ্যের জন্য আগ্রহীরা সারা দিন বসে থাকলেও ট্রাক আসেনি। শেষ পর্যন্ত খালি হতেই ক্রেতাদের ফিরে যেতে হয়েছে। গতকাল জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে টিসিবির পণ্যের জন্য সাধারণ মানুষ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। টিসিবির কোনো ট্রাক না আসায় শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই বাসায় ফিরতে হয়। এ ব্যাপারে টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের প্রধান জামাল আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি আজাদীকে জানান, আগে প্রতিটি স্পটে প্রতিদিন ট্রাক যেত। এখন ২/৩দিন পরপর একেকটি স্পটে যাবে টিসিবির ট্রাক। আগে ২২টি ট্রাক ছিল নগরীর জন্য। এখন মাত্র ৮টি ট্রাক। এই কারনে প্রতিদিন একই স্পটে গাড়ি যেতে পারবে না। মঙ্গলবার জামালখান এলাকায় ট্রাক যাওয়ার কথা ছিল না বলে জানান তিনি। মানুষ না জেনে জামালখান এলাকায় জড়ো হয়েছেন বলে জানান জামাল আহমেদ। জানা গেছে, ঈদের পর হঠাৎ করে টিসিবি তাদের ন্যায্যমূল্যের পণ্যের ট্রাক কমিয়ে দিয়েছে। অথচ কঠোর লকডাউনের দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্যের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ ততই বাড়ছে।
ঈদের বন্ধের পর টিসিবি গত ২৬ জুলাই থেকে আবার খোলা ট্রাকে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করেছে। লকডাউনে নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে।
এখন পুরো চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৮টি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ৭০০ কেজি চিনি, ২৫০ কেজি মসুর ডাল ও ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য। একজন ক্রেতা প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৫৫ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকায় ক্রয় করছেন। এসব পণ্যের খুচরা বাজার মূল্য হচ্ছে চিনি-প্রতি কেজি ৬৮ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৫ টাকা।
একজন ক্রেতা টিসিবির ট্রাক থেকে ২ কেজি চিনি, ১ কেজি ডাল এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করতে পারবেন বলে টিসিবি চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানা গেছে।