বন এবং বনাঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধ করেছে। সমৃদ্ধ বন রয়েছে বলেই সমগ্র দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। বন না থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। কাজেই এই বনকে রক্ষা করতে হবে বন কর্মকর্তাদেরই।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী রাঙামাটি ও কাপ্তাই উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শনে এসে এই মন্তব্য করেন।
প্রধান বন সংরক্ষক পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই ও কর্ণফুলী রেঞ্জ এলাকায় অবস্থিত এসিস্টেড ন্যাচারাল রিজেনারেশন (এএন আর) পরিদর্শন করেন।
এই দুই রেঞ্জে প্রায় ৭শ’ হেক্টর জমিতে সাড়ে চার লাখ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা লাগানো হয়েছে।
প্রধান বন সংরক্ষক বনের বেশিরভাগ এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখেন। বন দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বনকে কীভাবে আরো বিকশিত করা যায় সেই প্রচেষ্টা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বন সমৃদ্ধির পাশাপাশি বনে যাতে অবাধে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যও তিনি নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির বন সংরক্ষক মুহাম্মাদ সুবেদার ইসলাম এবং এফডিটিসি’র পরিচালক বখতিয়ার নুর সিদ্দিক। বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. রফিকুজ্জামান শাহ্, অজিত কুমার রুদ্র, এ এন এম আব্দুল ওয়াদুদ, জিএম মো. কবির, আবুল কালাম এবং সহকারী বন সংরক্ষক গঙ্গা প্রসাদ চাকম, মোস্তাফিজুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম।
এর আগে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী ঘাগরা বন স্টেশনের স্টাফ ব্যারাক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর তিনি ব্যারাক ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।