খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত পানিবন্দি মানুষের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে উঠেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি। জেলার একমাত্র এই নারী ইউপি চেয়ারম্যান দিনরাত বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বন্যা দুর্গতদের খোঁজ–খবর রেখেছেন। কখনো হাঁটু সমান পানি, কখনো বা নৌকায় করে বন্যা কবলিত মানুষের খুব কাছাকাছি গিয়েছেন তিনি। সাধ্যমত করেছেন সহায়তাও। এছাড়া ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষদের প্রতিবেলায় খাবার রান্না করে খাওয়ানোর উদ্যোগ নেন তিনি। নারী হয়েও দিন–রাত বন্যার মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এভাবে থেকেছেন বানভাসি মানুষের পাশে। লাকির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ও প্রশংসা করে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। মেরুং ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আকতার হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, একজন নারী চেয়ারম্যান দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর দুটি বন্যায় মানুষের জন্য নিজেকে তিনি যেভাবে উজাড় করে দিয়েছেন তা অন্য জনপ্রতিনিধিদের জন্য অনুসরণীয়।
গণমাধ্যমকর্মী নুরুচ্ছাফা মানিক লিখেন, মাইনী নদীর পানি বাড়ার পর প্লাবিত গ্রাম ও মানুষের ধারে ধারে গিয়ে তিনি খোঁজ নিয়েছেন। দিয়েছেন সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। তাকে স্যালুট। মেরুং ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ফজলুল হক হৃদয় লিখেছেন, আপনার মতো চেয়ারম্যান যদি প্রতিটি ইউনিয়নে থাকত!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষেরাও লাকির এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রের রোজিনা বেগম জানান, ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। চারদিন ধরে আশ্রয় কেন্দ্রে আছি। এখানে লাকি চেয়ারম্যান আছেন, তিনি আমাদের খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন।
বন্যা কবলিত মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে থাকার প্রসঙ্গে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, আমি গরীব মানুষ, তাই গরীব মানুষের সাথে মিশতে ভালো লাগে।










