ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় গতকাল বুধবার সহস্রাধিক বন্যা দুর্গতদের মাঝে শুকনো ও রান্নাকরা খাবার বিতরণ এবং ৭ শতাধিক চিকিৎসাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিল প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট ও মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ নিয়ন্ত্রণাধীন শাখা কমিটিসমূহের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবেলা সেল।
গতকাল বুধবার ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়ন এবং হাটহাজারীর ধলই ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে এবং মন্দাকিনী গ্রামে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ দুই উপজেলার দুর্গত মানুষদের মাঝে রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, বোতলজাত পানি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সেলের ৪ শতাধিক সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বানভাসিদের উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে শতাধিক মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেন। এছাড়াও শুক্রবার হতে দিনে এবং রাতে আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে রান্না করা খাবার প্রদান ছাড়াও ৩ সহস্রাধিক দুর্গত মানুষকে শুকনো খাবার, বোতলজাত পানি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়।
শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন চিকিৎসা কেন্দ্রসমূহের উদ্যোগে হারুয়ালছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, হাইদচকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব সুয়াবিল শাহানশাহ্ হক ভাণ্ডারী এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও বড় ছিলোনিয়াস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পের মাধ্যমে দুর্যোগে চিকিৎসা বঞ্চিত ৭ শতাধিক বয়স্ক, মহিলা ও শিশুদের বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিল প্রতিষ্ঠিত ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবেলা সেলের সেবককগণ ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ও ধর্মপুর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।