বন্যায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত : শত কোটি টাকার ক্ষতি

লামা পৌর মেয়রের মতবিনিময়

লামা প্রতিনিধি | রবিবার , ২০ আগস্ট, ২০২৩ at ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

লামা পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় লামা পৌরসভা এলাকায় শত কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে সাড়ে ৪ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে সম্পূর্ণ ঘর বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২ শ’ পরিবার এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫ শ’ পরিবার। লামা বাজার এবং এর আশপাশ এলাকার প্রায় ১ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ ভাগ মালামাল নষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হন। অভ্যন্তরীন বিভিন্ন সড়ক ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৮৫ ভাগ আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি দপ্তর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অসংখ্য গবাদি পশু ও হাঁসমুরগী বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এলাকার প্রায় ৯০ ভাগ রিংওয়েল বন্যা প্লাবিত হয়েছে। লামার সাম্প্রতিক বন্যা এবং বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে লামা পৌরসভা এলাকার ক্ষয়ক্ষতি ও বন্যা পরবর্তী সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শনিবার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে পৌর মেয়র এসব কথা বলেন। মত বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, কাউন্সিলর মো. হোসেন বাদশা, মো. সাইফিুদ্দিন, মো. রফিক, উশৈথোয়াই মার্মা, কাউন্সিলর মরিয়ম বেগম, সাকেরা বেগম, প্রকৌশলী মো. জুলকার নাঈম মানিক। মেয়র আরো বলেন, ভৌগলিক অবস্থান গত কারনে পৌরসভা এলাকা একটু বেশি বন্যা কবলিত হয়। আমাদের দক্ষিন দিকে আলীকদম উপজেলার মায়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত, পূর্ব দিকে রুপসীপাড়া এবং লামা ইউনিয়নের শেষ সীমান্ত পর্যন্ত এবং উত্তর দিকে গজালিয়া ইউনয়নের সর্বশেষ সীমন্ত পর্যন্ত এলাকার সমস্থ বৃষ্টির পানি লামা পৌরসভার লামা বাজারের পাশ ঘেষে মাতামুহুরী নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিনি বলেন, বন্যায় প্লাবিত লোকজনকে আমরা উদ্ধার করে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা করেছি। বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে লামা বাজারের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন গলি ও অভ্যন্তরীণ সড়ক সমুহ পরিষ্কার করে লোকজনের চলাচল উপযোগি করে তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত ২ হাজার ৯শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্য শস্য এবং ২শ’ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়ার্কার্স পাটির সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার সমস্যা ও উত্তরণ নিয়ে নাগরিক সংলাপ