বন্যায় বান্দরবানে বিধ্বস্ত গ্রামীণ সড়ক

দুর্ভোগে প্রান্তিক মানুষ

বান্দরবান প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানে সামপ্রতিক ভয়াবহ বন্যায় জেলায় গ্রামীণ সড়কগুলো কমবেশি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রান্তিক জনপদের মানুষ। ফলে শ্রমজীবী প্রান্তিক চাষিরা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, জেলার সাতটি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নির্মিত ৯শ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মধ্যে ৩শ কিলোমিটার সড়ক কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কগুলো সংস্কারে কমপক্ষে দেড়শ কোটি টাকা লাগবে। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ২শ সাতাইশ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২২ কিলোমিটার সড়কের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো স্বাভাবিক করতে ৪২ কোটি টাকা লাগবে। পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি এখনো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলজিইডির নির্মিত গেজমনি পাড়াবেতছড়া সড়ক, ছাইঙ্গাতারাছা সড়ক, মুন্নমপাড়া সড়ক, কানাপাড়া সড়ক, পলিকাপাড়া সড়ক, দোছড়িবাইশারী সড়ক, আলীকদমদোছড়ি সড়ক, সূয়ালকলামামাঝের পাড়া সড়ক, গোয়ালিখোলা সড়ক, হলুদিয়াভাগ্যকুল সড়ক এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত রোয়াংছড়িরুমা সড়ক, থানচিতংক্ষ্যং পাড়ার রাস্তা, ডাকচু পাড়া রাস্তা, বলিপাড়াক্যচু পাড়া রাস্তা, রুমাপলিপ্রাংসা রাস্তাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দার বাহাদুর ত্রিপুরা ও জগতিশ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সামপ্রতিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে গ্রামীণ সড়কগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কগুলোর কোথাও কোথাও পাহাড়ি ঢলে পুরোপুরি ধসে গেছে। পাহাড় ধসে ভেঙে গেছে সড়কের ছোটবড় অংশ। সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রান্তিক জনপদের মানুষজন। রাস্তা বন্ধ থাকায় সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা। ফলে শ্রমজীবী প্রান্তিক চাষিরা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। দ্রুত গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানাচ্ছি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত জানান, সামপ্রতিক বন্যা ও পাহাড় ধসে সড়কগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় বাইশ কিলোমিটার সড়কগুলো সংস্কারের জন্য ৪২ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার জানান, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নির্মিত গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় ৩শ কিলোমিটারের মতো ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পুনরায় নির্মাণে দেড়শ কোটি টাকা প্রকল্প নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর কাজ শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসছে ইলিশ, জৌলুস ফিরেছে কক্সবাজার ফিশারিঘাটে
পরবর্তী নিবন্ধসড়ক যোগাযোগ সচল করার চেষ্টা স্থানীয়দের