সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার খবর নিয়মিত রাখছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি তার সরকারের রয়েছে। তিনি বলেছেন, আমাদের প্রশাসন, আমাদের সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের অন্য সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমি মানুষকে উদ্ধার করা, তাদের ত্রাণ দেওয়া… সব ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। সেই সাথে আমাদের দলের যারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, প্রত্যেক নেতাকর্মী, বিভিন্ন এলাকায় তারাও সহযোগিতা করছেন। খাবার বিতরণ থেকে শুরু করে উদ্ধার কাজে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাছাড়া স্যালাইনের ব্যবস্থা, পানির ব্যবস্থাসহ অন্যান্য যা যা দরকার হতে পারে তার জন্য প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
গতকাল সকালে নিজের কার্যালয়ে ‘সাফ চ্যাম্পিয়ন ২০২১ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী জাতীয় ফুটবল দল’-এর সংবর্ধনা ও আর্থিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কৃতী খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দিতে পারায় আনন্দের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যদিও এখন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ভেতরে, একদিকে যেমন করোনার প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে এটা বর্ষাকাল, আষাঢ় মাস, আমাদের, বিশেষ করে সিলেট বিভাগে সিলেট এবং সুনামগঞ্জে ব্যাপক বন্যা। এবারের বন্যাটা একটু বেশিই ব্যাপক হারে এসেছে। প্রতিনিয়ত খবর রাখছি। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, ১০/১২ বছর পরপর একটি বড় বন্যা বাংলাদেশে দেখা দেয়। এ কারণে সবাইকে তিনি অনেক আগেই এবার সতর্ক করেছিলেন।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন ১৯৯৮ সালের কথা। সে বছর দুই মাস ধরে বন্যা হয়েছিল বাংলাদেশে। একই বছর যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছিল। সেটা উদ্বোধন করেছিলাম বলেই তখন সুবিধাটা হয়েছিল, এই যে উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে সব কাজগুলো করা যাচ্ছে।
এবারের বন্যার সময়ে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হলে সেটি দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন সুযোগ নিয়ে আসবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটাও আল্লাহর আশীর্বাদ হবে, কারণ আমরা যেমন দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে যোগাযোগটা অব্যাহত রাখতে পারব। পণ্য পরিবহন, বন্যা মোকাবেলা, বন্যার সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদেরকে সহযোগিতা করার একটা বিরাট সুযোগ আমাদের আসবে।
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় জড়িতদের সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহযোগিতা করার ওপর গুরুত্ব আরেপ করেন শেখ হাসিনা।