শক্সখনদে চলছে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের হাত জাল দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব। গতকাল শুক্রবার শক্সখনদে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে এ সংবাদ প্রচার হওয়ার সাথে সাথেই ভোর থেকে হাজার হাজার মানুষ হাত জাল নিয়ে শক্সখনদের দু’তীরে নেমে পড়ে।
চন্দনাইশের দোহাজারী, ধোপাছড়ি, সাতকানিয়ার কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড় সীমান্তে দেখা যায় নদের দু’তীরে অসংখ্য সৌখিন মৎস্য শিকারী হাত জাল দিয়ে মাছ ধরছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর হতে হতেই একেক জন মাছ শিকারীর মধ্যে কেউ কেউ ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত মাছ পেয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে মাছের পোনা থেকে ৪/৫ কেজি ওজনের বড় মাছ।
গত সপ্তাহে টানা বর্ষণের ফলে শক্সখনদে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় চন্দনাইশ–সাতকানিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। বন্যায় দু’উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার পুকুর ডুবে গিয়ে চাষকৃত মাছ ভেসে যায়। এসকল পুকুরের সমস্ত মাছ বিলে, খালে, নদ–নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার বন্যার পানি নামার পর থেকেই সৌখিন মৎস্য শিকারীরা হাত জাল নিয়ে বিলে, খালে, নদ–নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েন এবং পর্যাপ্ত মাছ পাচ্ছেন। বিশেষ করে চন্দনাইশ–সাতকানিয়া সীমান্তের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা শক্সখনদের বিভিন্ন পয়েন্টে হাত জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য বেশি দেখা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার ভোর থেকেই সৌখিন মৎস্য শিকারীরা প্রচুর মাছ পাচ্ছেন। এসব মৎস্য শিকারীরা পাওয়া মাছ নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে নিকটস্থ আত্মীয়–স্বজনদেরও বিলি করতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন।
উত্তর কালিয়াইশের গ্রামের আবদুল আলম সওদাগর জানান, শক্সখনদে হাত জালে প্রচুর মাছ আসছে ভোরে কয়েকজনের কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে বাড়িতে থাকা জাল নিয়ে আমরা ৩ জন মাছ ধরতে যায়। ৩ ঘন্টার মধ্যেই ১৫ কেজির বেশি মাছ পেয়েছি। এরমধ্যে রুই, কাতাল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। বন্যা পরবর্তী শক্সখনদে এ দৃশ্য এখন নিত্যদিনেই দেখা যাচ্ছে।