বন্যার্তদের প্রতি মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে কারো কোনো রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষগুলো এখন মহাবিপদে। ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিএনপিসহ আমরা সবাই দলমত নির্বিশেষে এই বন্যা মোকাবেলায় কাজ করব ইনশাআল্লাহ। তিনি গতকাল বিকেলে ফেনীর ফাজিলপুর ও ফরহাদ নগর ইউনিয়নের বটতলী বাজার, সূর্যছায়া, বাদামতলী ও নতুন মসজিদ এলাকায় বন্যাদুর্গত বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চলমান বন্যা কোনো প্রাকৃতিক নয়, এটি মানবসৃষ্ট বন্যা। এ বন্যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো প্রতিবেশী দেশের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা। তারা হঠাৎ করেই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় মহাদুর্যোগে পড়েছে ফেনী এলাকার মানুষ। পানিবন্দী মানুষ পর্যাপ্ত খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে। তিনি সকল বানভাসি অসহায় মানুষদের পাশে সহযোগিতা করার জন্য বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকল নেতাকর্মীকে বানভাসি মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকায় সহায় সম্বল হারিয়ে লাখ লাখ মানুষ এখন নিদারুণ কষ্টে আছে। তাই এই মুহূর্তে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ আরও বেশি জোরদার করতে হবে। যার যার সাধ্যমত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। তিনি দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিাত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, ফরহাদ নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাচ্চু, ফাজিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, নগর বিএনপি নেতা মো. আলমগীর, আলী মর্তুজা খান, আবদুল আহাদ রিপন, আমিন উল্লাহ, শাহাদাত হোসেন, মোরশেদ উল্লাহ ও মো. মুছা।