বন্যার পানি ক্রমান্বয়ে নেমে যাওয়ার পর ভঙ্গুর বিধ্বস্ত সড়কগুলো ভেসে উঠেছে। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন সড়কের আজাদীসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন দেখে মনে হচ্ছে এ যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনও সড়ক সেতু ও কালভার্ট। নগরীর যেসব নিচু এলাকায় জলজট দেখা দিয়েছিল সেইসব এলাকার মূল সড়কসহ ওয়ার্ড ও মহল্লার সড়কগুলো অনেকটা গাড়ি চলাচলে উপযোগী নয়। চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বান্দরবান, কক্সবাজার মহাসড়কের প্রায় ৪০ কিলোমিটার টানা ৫দিন পানির নিচে ছিল। পানি সরে যাওয়ার পর দেখা দিয়েছে সড়কের বেহাল অবস্থা। বড় বড় খানা খন্দে ভরে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকায় ক্ষত–বিক্ষত হয়েছে মহাসড়ক। ফাটল দেখা দিয়েছে অনেকস্থানে। বন্যায় ঘরে ঘরে অসহায়ত্ব বিরাজ করছিল। প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে অনেক পরিবার। অনেক পরিবার পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের উপর গুরু দায়িত্ব বর্তায় দ্রুত সময়ে ত্রাণ সরবরাহ, পুনর্বাসন ও সড়ক মহাসড়ক সংস্কার করা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভাষ্য অনুযায়ী তারা তাদের কাজ শুরু করেছে। তবে আমরা এ কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি চাই।
এম.এ.গফুর,
বলুয়ার দিঘির দক্ষিণ–পশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।