দেশের মালিকানা জনগণের কাছেই ফিরে এসেছে, এমন সুযোগ সবসময় আসে না। হয়তো এমন গণবিপ্লব আর কয়েক প্রজন্মও দেখবে না। আমাদের সৌভাগ্য আমরা এই দেশের ছাত্রজনতার হাতে একটি স্বৈরাচারের পতন দেখেছি। জনগণেরই এখন সুযোগ ও সময় দেশকে পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখার। সকল সমস্যা আমরা একসাথে আলোচনা করেই সমাধান করতে চাই। একক কোনো সিদ্ধান্তে কোনো কিছুই দেশে আর হবে না। কোথাও যেন আর বৈষম্য না থাকে, তা বাস্তবায়নের জন্য এই বিপ্লব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক–ই–আজম গতকাল রোববার মীরসরাই উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বড় মিয়া ছোট মিয়া বিবেচনা যেন না হয়। চৌধুরী বাড়ির রাস্তা আগে হবে কুমার বাড়ির রাস্তা পরে হবে এমন বৈষম্য যেন না হয়। যারাই সব চাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তারাই অগ্রাধিকার পাবে। বৈষম্য দিনের অবসান ঘটেছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। যথাযথভাবেই সকল তালিকা হচ্ছে। আপনাদের ভাবনার চাইতেও সরকার আরো ভালো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এসময় তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, এখন আর আগের বাংলাদেশ হবে না। উঁচু নিচু ভেদাভেদ আর হবে না। আইনের কাছে সবাই সমান থাকবে। রাষ্ট্র এবং সরকার সুস্পষ্ট বিভাজন থাকবে। রাষ্ট্র চিরস্থায়ী চিরন্তন। রাষ্ট্র তার আইন এবং বিধি দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে। থানা পুলিশ উন্মুক্ত থাকবে জনগণের জন্য। যেখানে আর কোনো বৈষম্য থাকবে না। ফারুক–ই–আজম আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কোনো ডিপার্টমেন্টের কাজের ফিরিস্তি নিয়ে ঠেলাঠেলি যেন না হয়। সকলেই দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যেকটি দপ্তর যৌথ পরিবারের মতো কাজ করবে। জনগণের সেবা করার জন্য যে সুযোগ এসেছে তা যেন হেলায় নষ্ট না করি। এসময় উপস্থিত ছিলেন মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, মীরসরাই উপজেলা সেনা অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মামুন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মীরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।