হালদা নদীর হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি অংশের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়া বেড়িবাঁধ এবং বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম। এ সময় ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। এছাড়া বন্যাকবলিত সকল এলাকাকে সমান গুরুত্ব দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম।
হাটহাজারী : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, গতকাল শনিবার দুপুর একটায় হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নাজিরহাট নতুন ব্রিজ সংলগ্ন হালদা নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফারুক ই আজম। এ সময় তিনি হালদার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এছাড়া তার পক্ষে বন্যাদুর্গত ২৪০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ মেরামত করা হবে। তাছাড়া দুর্গত অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় তার সাথে ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মজুমদার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) সোয়েব আহম্মদ খাঁন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহরাজ শরবীন, ওসি মো. মনিরুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নিয়াজ মোর্শেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চট্টগ্রাম সার্কেল–১) শওকত ইবনে সাঈদ, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় কুমার ত্রিপুরা, এলজি শাহীন বাদশা, উপসহকারী প্রকৌশলী মৈ সং সিং, মনির আহম্মদ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, ফরহাদাবাদ ইউপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। পরে তিনি রামগড় সেকশন সড়ক দিয়ে ফটিকছড়ির সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ভূজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বন্যা দূর্গত স্হান ও হালদা নদীর বেড়ি বাঁধ পরিদর্শন করেন।
ফটিকছড়ি : ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুর ৩টার দিকে ফটিকছড়ির বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম। তিনি নাজিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড, সুয়াবিল হালদা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে উপজেলা পরিষদে গিয়ে ফারুক–ই–আজম বলেন, আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নির্বিশেষে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এ এলাকা, ওই এলাকা বলে কথা নেই। যেখানে বন্যাকবলিত এলাকা আছে প্রতিটি এলাকাকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। একেবারে বস্তুনিষ্ঠভাবে নিরুপণ হবে। আগামীতে পুনর্বাসন কর্মসূচি সঠিকভাবে যেন প্রণয়ন করা যায় এবং যথার্থ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা যাতে উপকৃত হয় এজন্য আমরা কাজ করছি। পুনর্বাসন কার্যক্রমে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা, নারীরা এবং স্বেচ্ছাসেবকেরাও যোগ দেবেন। আমরা যে কাজ করবো তা ভালো ভাবেই করতে চাই, যাতে কাজগুলো টেকসই হয়।
এ সময় উপদেষ্টার সাথে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মল হক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন, পিআইও আবুল হোসেন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ।