একসময় পরিবেশে বন্য পাখির অবাধ চলাফেরার দৃশ্য দেখা গেলেও সময়ের পরিক্রমায় সে দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। একশ্রেণীর পাখি শিকারীর ফাঁদে এখন দেশের নানা প্রজাতির বন্যপাখি।পাখি শিকার দর্শনীয় অপরাধ হলেও এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে বন্যপাখি শিকার। এসব বন্য পাখি শিকার নিষিদ্ধ হলেও থেমে নেই বন্য পাখি শিকারের সরঞ্জামের ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার। সরেজমিনে দেখা যায়,বিভিন্ন দোকান, হাট-বাজার থেকে শুরু করে ফুটপাতে স্বল্প মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পাখি শিকারের সরঞ্জাম। শিকারীরা এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বন্যপাখি শিকার করছে। এছাড়া বর্তমানে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের বুঝে-না বুঝে খেলনা হিসেবে কিনে দিচ্ছে এসব পাখি শিকারের সরঞ্জাম।পাখি শিকার শেষে এসব পাখিকে বন্দী করা হচ্ছে খাঁচার ভেতরে।খাঁচাবন্দি এসব পাখি আবার প্রকাশ্য বিক্রি হচ্ছে হাট-বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে। বন্যপাখি পালা নিষিদ্ধ জেনেও সমাজের মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তরা শখের বসে কিনছেন খাঁচাবন্দী এসব বন্যপাখি। বন্যপাখি রক্ষায় এ ব্যাপারে সচেতনতার বিকল্প নেই।ক্রমাগত পাখি শিকারের ফলে দেশের জীববৈচিত্র্য আজ ধ্বংসের পথে। এছাড়া শিকারীর অত্যাচারে বন্য পাখির জীবনচক্র এখন হুমকির মুখে। প্রকৃতিকে ধ্বংসের হাতিয়ার এই পাখি শিকারের সরঞ্জামের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ হচ্ছে না।পাখি শিকার ও শিকারের জন্য এসব সরঞ্জামের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে প্রশাসনিক তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বন্যপাখি শিকার ও শিকারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জামের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি।
আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ