দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা দুই সপ্তাহ জারি থাকবে। বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই পর্যটক শূন্য জেলার সবকটি পর্যটন কেন্দ্র। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা।
গতকাল শুক্রবার খাগড়াছড়ির আলুটিলা সুড়ঙ্গ, জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝরনাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে কোনো পর্যটকের দেখা মেলেনি। সবকটি পর্যটন কেন্দ্রের বাইরে তালা ঝুলছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পাহারা দিতে দেখা যায়।
জেলা প্রধান পর্যটন কেন্দ্রের পরিচালক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা জানান, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে পর্যটক সমাগম কমে গেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের ঘোষণার পরপর করোনা সংক্রমণ রোধে আমরা পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রেখেছি। অনেকে না জেনে বেড়াতে আসলেও তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আমরা পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রেখেছি। প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক আগামী ১৪ দিন পার্ক বন্ধ থাকবে।
এদিকে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণার পর খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাতায়াতকারী চান্দের গাড়ি বা জিপ চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতি।
সাজেক কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকায় সবকটি রিসোর্ট কটেজ বন্ধ রয়েছে। অনেক পর্যটক তাদের অগ্রিম বুকিং বাতিল করেছে।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক কক্ষের বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। এছাড়া জেলার সবকটি হোটেল রিসোর্ট অতিথি শূন্য হয়ে পড়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সবকটি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী ১৪ দিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ১৪ দিন পর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যটন কেন্দ্র খোলার বিষয়ে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।