ধার দেয়া মাত্র একশ টাকার দেয়া–নেওয়া নিয়ে সৃষ্ট বিতণ্ডার জেরে ঘুষির আঘাতে বন্ধুর হাতে আরেক বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল সাদার পাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত মো. মঈনুদ্দিন (১৮) স্থানীয় দিল মোহাম্মদ সাদার ছেলে। পটিয়া হযরত শাহ চান্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে সে। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি অভিযুক্ত মারুফকে (১৮) গতকাল রাত ৯টায় হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরখানাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে সেখানে খালার বাসায় আত্মগোপন করেছিল মারুফ।
নিহতের চাচাতো বোন নাদিয়া জানান, কোন একটা প্রয়োজনে মারুফের টাকা দরকার হলে মঈনুদ্দিন বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে ১০০ টাকা ধার নিয়ে মারুফকে দেয়। কথা ছিল দ্রুত সময়ে টাকাটি ফেরত দেবে। কিন্তু সময়মত মারুফ টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। এর জেরে দুইজনের মধ্যে একাধিকবার উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মঈনুদ্দিনকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে একা পেয়ে মারুফ মারধর করে। এক পর্যায়ে তার একটা ঘুষি মঈনুদ্দিনের অণ্ডকোষে লাগলে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানান, নিহত মঈনুদ্দিন ও মারুফ সম্পর্কে দূর সম্পর্কের চাচা–ভাতিজা এবং একে অপরের বন্ধু। অল্প কিছু টাকার জন্য দুজনের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। গত ৭–৮ দিন তাদের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে মঈনুদ্দিনকে পুকুরঘাটে একা পেয়ে মারধর করে মারুফ। এর এক পর্যায়ে অণ্ডকোষে ঘুষি লাগলে মঈনুদ্দিনের মৃত্যু হয়। তিনি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত মারুফ গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানান তিনি।