দূতাবাসের কর্মীদের বহনকারী একটি গাড়ির ভেতর রাইফেল তাক করার অভিযোগে মেক্সিকো থেকে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত জন বেঞ্জামিনকে অপসারণ করা হয়েছে। তবে তাকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা, সেটি স্পষ্ট নয়। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এতথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জন বেঞ্জামিনের এহেন কার্যকলাপের কারণে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। ফিন্যানশিয়াল টাইমস সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বেঞ্জামিন দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে সফরে ছিলেন, যা মাদক চক্রের সহিংসতায় জর্জরিত। খবর বাংলানিউজের।
সংবাদপত্রটি ঘটনার সঙ্গে পরিচিত, কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে বলেছে, কূটনীতিক বেঞ্জামিনকে এপ্রিলের পরপরই রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদেশি কর্মকর্তারা প্রায়ই মেক্সিকোতে বিপজ্জনক অঞ্চল পরিদর্শনের সময় দেহরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করেন বলেও উল্লেখ করেছে তারা। এছাড়া এই সপ্তাহে এক্সে একটি বেনামি অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখা যায়, বেঞ্জামিন মজা করে গাড়ির পেছনের দিকে অস্ত্রটি তাক করেছেন। পেছনের আসনে বসা যাত্রীর মুখ অস্পষ্ট ছিল। তবে ফিন্যানশিয়াল টাইমস তাকে স্থানীয় দূতাবাসের কর্মচারী হিসেবে বর্ণনা করেছে। মেক্সিকান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ করার পাশাপাশি ওই এক্স অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে, মেক্সিকোয় মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে প্রতিদিনের হত্যার প্রেক্ষাপটে তিনি (রাষ্ট্রদূত) রসিকতা করার সাহস করেন। এএফপির তথ্য অনুসারে, লাতিন আমেরিকার দেশটিতে প্রতিদিন প্রায় ৮০ জনকে হত্যা করা হয়। এর বড় অংশই ঘটে অতিহিংস্র মাদক চক্রের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। ব্রিটিশ সরকারের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো উদ্ভূত হলে তা সমাধানের জন্য শক্তিশালী মানবসম্পদ প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে তিনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেননি। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বেঞ্জামিন ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মেক্সিকোয় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এছাড়া বিজনেস নেটওয়ার্কং সাইট লিংকডইনে বেঞ্জামিনের অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী, মেক্সিকোয় তার পোস্টিং শেষ হয়েছে মে মাসে।