চট্টগ্রাম বন্দরে নবনির্মিত সুইমিং কমপ্লেক্স, টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ড গতকাল দুপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, আজকের দিনটা চট্টগ্রামবাসীর জন্য গর্বের। আমি এতদিন চট্টগ্রাম বন্দরের যতগুলো কাজের উদ্বোধন করেছি, সবগুলোই সারাদেশের। কিন্তু এই সুইমিংপুল কমপ্লেক্স, টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ডটি কেবল চট্টগ্রাম বাসীর জন্য নতুন বছরের উপহারস্বরূপ দেয়া হয়েছে বলে আমি মনে করি। আরেকটি বিষয়-চট্টগ্রাম সবক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন ক্রীড়াবান্ধব মানুষ। যখন বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা ভালো খেলে তখনই মাঠে ছুটে যান, তাদের উৎসাহ দেন। পারিবারিকভাবে ওনার পরিবার ক্রীড়ামোদি পরিবার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহাজাহান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আয়োজিত সাঁতার প্রতিযোগিতায় ৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সিনিয়র স্টোর অফিসার মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, দ্বিতীয় উপ-পরিচালক (নিরাপত্তা/অপারেশন) মেজর মো. ওয়াহিদুল হক, তৃতীয় হয়েছেন চীফ পার্সোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন। প্রতিযেযাগিতাটি পরিচালনা করেন সাবেক জাতীয় সাঁতারু মাহবুবুর রহমান সাগর।
উল্লেখ্য, ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সোয়া একর জায়গার উপর নির্মিত সুইমিং কমপ্লেক্সে রয়েছে আলাদা দুইটি সুইমিং পুল। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানের তৈরি ১ হাজার ২৫০ বর্গমিটার (দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার ও প্রস্তে ২৫ মিটার) আয়তনের প্রধান পুলে রয়েছে ৮টি লেন। যার একপাশের গভীরতা সাড়ে চার ফুট এবং অপরপ্রান্তের গভীরতা সাড়ে তের ফুট। যাতে একসাথে ৮ জন সাঁতারু লো ডাইভিং দিতে পারবেন। এছাড়া কমপ্লেক্সের প্রধান পুলের পাশে আছে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্তের আরো একটি ক্ষুদে সুইমিং পুল। যাতে ক্ষুদে ও শিক্ষানবীশরা সাঁতার শিখতে পারবেন। যার একদিকের গভীরতা দুই ফুট ও অপরপ্রান্তে ৪ ফুট। এছাড়া পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য আলাদা আলাদাভাবে ড্রেসিংরুম, শাওয়ার জোন ও টয়লেটের ব্যবস্থা। এছাড়া কমপ্লেক্সে রয়েছে টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ড। এই গ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও পোষ্যরা খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে পারবেন। এছাড়া এই টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির মাধ্যমে ক্রীড়াক্ষেত্রেও চট্টগ্রাম এগিয়ে যাবে।