বন্দর–পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিকের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন চসিক সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপরোক্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।এসময় সুজন বলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পতেঙ্গা এবং এর সন্নিহিত এলাকায় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, দুইটি ইপিজেড, রাষ্ট্রীয় তেল শোধনাগার, বিমান ও নৌ ঘাটি, সার কারখানাসহ অসংখ্য শিল্প কারখানা এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৫ থেকে ১০ লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করে থাকেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী শ্রমিক। এসব নারী শ্রমিকদের মধ্যে বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা গর্ভবতী হয়ে থাকেন। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব পর্যন্ত সময়ে ঐসব মহিলাদের চিকিৎসার জন্য বন্দর–পতেঙ্গা এলাকায় কোন মাতৃসদন নেই।
তাছাড়া এতো বিশাল শিল্প এলাকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য এখানে নেই কোন জেনারেল হাসপাতাল। চট্টগ্রামের একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি বর্ণিত এলাকা থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চমেক হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে ইতোমধ্যে অনেক মুমূর্ষু রোগীকে পথেই প্রাণ দিতে হয়েছে। তাই দীর্ঘদিন ধরে বন্দর–পতেঙ্গা এলাকায় একটি হাসপাতাল নির্মিত না হওয়া ঐ এলাকার জনগণের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণও বলা যায়। নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক এবং তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানকে উপানুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জরিপসহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রেরণে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ১১ অক্টোবর হাসপাতাল নির্মাণে প্রস্তাবিত কয়েকটি জায়গার তালিকা হস্তান্তর করেন সুজন। চট্টগ্রামের আগামী দিনের চিন্তাকে মাথায় রেখে উন্নয়নের পাশাপাশি ঐ এলাকায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ আজ সর্বস্তরের জনগণের প্রাণের দাবি। আর এ দাবিতে চট্টগ্রামের সকল মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যগণকে এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানান সুজন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
        











