হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষী বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দী থেকে আজ অব্দি দেশের অর্থনৈতিক জীবনীশক্তি হিসেবে এই নগরীর গুরুত্ব অপরিহার্য ও অনস্বীকার্য। আরব ব্যবসায়ী, পর্তুগিজ জলদস্যু, আরাকানদের আধিপত্য শেষে এসেছিলেন ব্রিটিশরা। যুগে যুগে সবারই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এই অপার সম্ভাবনাময় বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। এ অঞ্চল সবধরনের শিল্পের জন্য উপযুক্ত হওয়ায়, ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে চট্টগ্রাম শহর উপমহাদেশের অনন্য এক ঐতিহাসিক স্থান। এখানে রয়েছে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে চট্টগ্রাম এক অনন্য জনপদ। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অনেকাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে। যার ফলশ্রুতিতে এখানে গড়ে উঠেছে প্রচুর শিল্প–কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ত্বরান্বিত হয়েছে দেশের আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন। দেশের সর্বমোট রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় সিংহ ভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে। অন্যদিকে আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দেশের রাজস্ব আয় আসে চট্টগ্রামের ব্যবসা–বাণিজ্য থেকে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বন্দর নগরী শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে, দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরের কোলে বেড়ে ওঠা এই নগরীর নৈসর্গিক রূপ, যুগ যুগ ধরে নজর কেড়েছে দেশ–বিদেশের টুরিস্টদেরও। সেই নগরীর প্রাণকেন্দ্র বহদ্দারহাটে সগৌরবে নিজেকে মেলে ধরেছে শিল্পাঞ্চল হিসেবে। এই অঞ্চলেই তথা পুরো চট্টগ্রাম নগরীতে আস্থা আর ভরসায় স্থাপত্যশিল্পে সুনামের সাথে বছরের পর বছর সাফল্য নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর পাশে আছে ফিনলে প্রপার্টিজ। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৭ জানুয়ারি উন্মোচিত হচ্ছে ফিনলে প্রপার্টিজের আরও একটি সফল উদ্যোগ ফিনলে সাউথ সিটি শপিংমল। নান্দনিক স্থাপত্য ও আধুনিকতায় তৈরি এই শপিংমল চট্টগ্রামবাসীর জন্য অনন্য মাইলফলক। হাই–অ্যান্ড রেসিডেন্সিয়াল ক্লাস্টার, কমার্শিয়াল স্পেস, আধুনিক নিরাপত্তা বেষ্টিত প্রায় ১ লাখ স্কয়ার ফিট, ২৩৮ এরও বেশি রিটেইল শপ, ফুড কোর্ট, ফান জোন এখন একই ছাদের নিচে, একই বিল্ডিংয়ে। এখন থেকে চট্টগ্রামবাসী, শপিংয়ে পাবে বিশ্বমানের এক্সপেরিয়েন্স। দুবাই–সিঙ্গাপুর নয়, চট্টগ্রামেই হবে বিশ্বমানের শপিং। একদিকে যেমন ক্রেতা সাধারণের জন্য শপিং আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের জন্য তৈরি হবে আন্তর্জাতিক ব্যবসার ক্ষেত্র, বৃদ্ধি পাবে পরিধি, হবে কর্মসংস্থান। বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ডের পাশাপাশি দেশীয় ব্র্যান্ডের সমাহার আর নতুন নতুন সব এক্সপেরিয়েন্স সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে অচিরেই পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লোটো, টাইম জোন, রাইস, শৈল্পিক, এপেক্স, বাটা, হারলেন, খাদিঘর, আর্ট, ল্যা কুপার, জি জি আইল্যান্ড, ব্রোস্ট ক্যাফে, লিন্ড, সাদিয়া’স কিচেন, স্বদেশ পল্লীসহ নানান দেশি–বিদেশি ব্র্যান্ডের সমাহার এখন একই ছাদের নিচে। প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকতেই, দৃষ্টিনন্দন এট্রিয়াম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, ক্যাশলেস শপিংয়ের জন্য আছে এটিএম বুথ, সার্বক্ষণিক জেনারেটর সুবিধা, ক্যাপসুল লিফটের পাশাপাশি, সার্ভিস লিফট, এসকেলেটর, অটোমেটিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, সুবিশাল সিকিউর পার্কিং স্পেস, বিশ্বখ্যাত ফুড চেইন এবং দেশীয় খাবারের ফুড কোর্ট, কিডস প্লে জোন, ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ও কম্পিউটার সার্ভিসিং সেন্টার, বুক স্টোর, গিফট কার্ড শপ, জুয়েলারি, অথেনটিক কসমেটিকস, লেডিস গার্মেন্টস কালেকশন, ঘড়ি এবং অপটিকস, বোরকা, হিজাব, দর্জি, হ্যান্ডিক্রাফটস পণ্য, বাচ্চাদের সব ধরনের খেলনার দোকান, ট্রেন্ডি রেডিমেন্ট গার্মেন্টস, পাঞ্জাবি ও শেরওয়ানি, দেশি–বিদেশি ব্র্যান্ডের জুতা, ব্র্যান্ড গ্যালারি, ম্যাজিক্যাল থিমপার্ক, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের স্থানসহ বিশ্বমানের সকল সুবিধা নিয়ে প্রস্তুত ফিনলে সাউথ সিটি শপিংমল। ব্যবসায়ের নতুন দিগন্তের সাথে সাথে ঐতিহ্য আর শ্রেষ্ঠত্বের নতুন স্থাপত্য ফিনলে সাউথ সিটি শপিংমল এখন নগরীর প্রাণকেন্দ্র বহদ্দারহাটে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। আগামী ১৭ জানুয়ারি গ্র্যান্ড ওপেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হবে চট্টগ্রাম শহরের এক নতুন মাইলফলক হিসেবে।