সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের একটি গুদামে গতকাল অভিযান চালিয়ে পৌনে দুই কোটি টাকার পচা পোল্ট্রি ফুড জব্দ করেছে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারসহ নানা সামগ্রী পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বর্জ্য হিসেবে টেন্ডার দেওয়া হয়। টেন্ডার যারা নেন তাদের মধ্যে অনেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটজাত করে বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে থাকেন। এর মধ্যে মানুষ ও পশুপাখির খাদ্যও রয়েছে। সমপ্রতি বাঁশবাড়িয়া এলাকায় একটি গুদামে অস্বাস্থ্যকর পোল্ট্রি ফুড প্যাকেটজাত করা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে টেন্ডারে নেওয়া পরিত্যক্ত ও মেয়াদোত্তীর্ণ পশুখাদ্যের বর্জ্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব পোল্ট্রি ফুড। পরিত্যক্ত বর্জ্যের পচা দুর্গন্ধে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
গতকাল সোমবার ওই গুদামে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আড়াই হাজার প্যাকেট ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের প্যাকেট জব্দ করেছে। তার মধ্যে বিপুল সংখ্যক ভেজাল খাদ্য, বিষাক্ত বর্জ্য, উৎপাদনের মেশিন, খালি প্যাকেট, বস্তা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি রয়েছে। ৫০ কেজি ওজনের একেকটি প্যাকেটের বাজারমূল্য ৬–৭ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। জব্দ করা মুরগির খাদ্যের অনুমানিক মূল্য এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তবে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলা ডিবির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান।
ফ্যাক্টরির ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, মুরগির অনেক খাদ্যের প্যাকেট মজুত রয়েছে। প্যাকেটজাত করার কয়েকটি মেশিনও আছে সেখানে। রাতে মুরগির খাদ্যগুলো প্যাকেট করা হয়। কারখানাটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, এখানে প্রতিদিন কয়েকটি ট্রাকে মালামাল আনা–নেওয়া করা হতো। ২৪ ঘণ্টা ১৫ জন শ্রমিক এখানে কাজ করতো।
চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অফিসার ইনচার্জ নুর আহমদ জানান, ৫০ কেজি ওজনের আড়াই হাজার প্যাকেট ব্রয়লার মুরগির খাদ্য জব্দ করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল এসব পোলট্রি ফুড বাজারজাত করা হয়।