কাগজপত্র জাল–জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কয়েক কোটি টাকা দামের কাপড় ভর্তি বিশ ফুটি একটি কন্টেনার পাচারের চেষ্টাকালে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ তাকে আটক করার পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। কন্টেনারটি অনচেসিস ডেলিভারি নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। বন্দর সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের ৫ নম্বর গেইটে জিসিবি ৫ নম্বর গেইটে সিএন্ডএফ এজেন্ট সিবা কার্গো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অনুকূলে অন চেসিস কন্টেনার নং এমআরকেইউ ৭১৩৩৫৮৬ খালাস করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। গতকাল বেলা ১২টা নাগাদ সিবা কার্গো ইন্টারন্যাশনালের সহকারী জেটি সরকার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর– ২৮৬৯৬৪২০২১) জাল–জালিয়াতির মাধ্যমে কন্টেনার খালাসের জন্য গেইটে পাশ সংগ্রহকালে নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা আটক করে। তাকে বন্দর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিশ ফুটি কন্টেনারটিতে কাপড় ভর্তি ছিল বলে জানিয়ে সূত্র বলেছে, চীন থেকে আনা উন্নতমানের এসব কাপড়ের দাম কয়েক কোটি টাকা হতে পারে। বন্দর সূত্র জানিয়েছে, চুরি ও পাচার প্রতিরোধে বর্তমানে বন্দরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। সর্বশেষ আইএসপিএস টিম পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। চবকের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে বর্তমানে বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিজিবি, বাংলাদেশ পুলিশ ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও এনএসআই, ডিজিএফআই ও নৌ–গোয়েন্দারা বন্দরের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
অতীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিভিন্ন ফাঁক ফোকর দিয়ে অনেক দুষ্কৃতিকারী পার পেয়ে গেলেও বর্তমানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকায় দুর্বৃত্তরা ধরা পড়ছে বলেও বন্দর সূত্র মন্তব্য করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বদা নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে সচেষ্ট এবং জালিয়াতি বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল বলে উল্লেখ করে বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।